WFTW Body: 

গীতসংহিতা ৫০: গীতসংহিতা ৫০:২৩ পদে একটি অপূর্ব প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়, যারা তাদের জিহ্বাকে পরচর্চায় ব্যবহার করার বদলে তা তাদের প্রভুর প্রশংসা করতে ব্যবহার করেন: "যে ব্যক্তি স্তবের বলি উৎসর্গ করে, সেই আমার গৌরব করে: যে ব্যক্তি নিজ পথ সরল করে, তাহাকে আমি ঈশ্বরের পরিত্রাণ দেখাইব" (আক্ষরিক)। আমরা যখন প্রভুর প্রশংসা করি, তখন আমরা এর মাধ্যমে সার্বভৌম ঈশ্বর হিসাবে তাঁর প্রতি আমাদের বিশ্বাস প্রকাশ করি এবং বিশ্বাসের এই অভিব্যক্তি তাঁকে সক্ষম করে তোলে আমাদের প্রতি তাঁর মুক্তি প্রদর্শন করতে।

গীতসংহিতা ৬৫:১ বলেছে, "প্রভু, সিয়োন (মণ্ডলী)-এ আপনার জন্য প্রশংসা অপেক্ষা করছে।" আমাদের মণ্ডলী এমন জায়গা হওয়া উচিত যেখানে ঈশ্বরের জন্য প্রশংসা সর্বদা অপেক্ষা করে। ঈশ্বর যখন আমাদের মাঝে আসেন তখন তিনি যেন অবশ্যই দেখতে পান যে তাঁর জন্য প্রশংসা অপেক্ষা করছে। ঈশ্বর এই জাতীয় লোককে তাঁর নিকটে নিয়ে যান গীতসংহিতা ৬৫:৪ বলে, "ধন্য সেই, যাহাকে তুমি মনোনীত করিয়া নিকটে আন"। গীতটি ক্রমাগত পৃথিবীতে ঈশ্বরের মঙ্গলভাবের কথা বলে।

গীতসংহিতা ১০০ অধ্যায়টি হলো প্রভুর প্রশংসা করার জন্য এবং তাঁর সেবা করার জন্য একটি আমন্ত্রণ। আমাদেরকে "আনন্দের সাথে প্রভুর সেবা" করতে হবে (গীতসংহিতা ১০০:২)। আমি এমন লোকদের সাথে সাক্ষাৎ করেছি যারা বলে যে তারা প্রভুর সেবা করছেন, তবে তারা বেশিরভাগ সময় বা কোন কিছুর বিষয়ে বা কারোর বিষয়ে অভিযোগ করেন। ঈশ্বর চান না এমন ব্যক্তি তাঁর সেবা করুক যিনি আনন্দের সাথে তাঁর সেবা না করেন।

গীতসংহিতা ১০৬ অধ্যায় ইস্রায়েলের প্রতি ঈশ্বরের মঙ্গলভাবনার ইতিহাস অবিরত রয়েছে। গীতসংহিতা ১০৬:১১, ১২ পদে আমরা পড়ি, "জল তাহাদের বিপক্ষগণকে আচ্ছাদন করিল, তখন তাহারা তাঁর কথায় বিশ্বাস করিল এবং তাঁহার প্রশংসা গান করিল"। আমরা সেখানে দুটি জিনিস দেখতে পাই। প্রথমত, বিশ্বাসের প্রমাণস্বরূপ হলো প্রশংসা। হৃদয়ের প্রাচুর্য থেকে মুখ কথা বলে। মুখ হচ্ছে হৃদয়ের উপচে পড়ার কবাটিকা। আমাদের অন্তরে যদি বিশ্বাস থাকে, তবে তা প্রশংসার মাধ্যমে উপচে পড়ে। প্রেরিতেরা যখন পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়েছিলেন, তাঁরা ঈশ্বরের প্রশংসা করতে শুরু করেছিলেন (প্রেরিত ২)। আমরা যদি ঈশ্বরের প্রশংসা না করি তবে এটি প্রমাণ করে যে আমাদের বিশ্বাস নেই। দ্বিতীয়ত, পুরাতন নিয়মের অধীনে, তারা বিশ্বাসের দ্বারা নয় বরং দৃশ্য বিষয়ের ভিত্তিতে জীবনযাপন করেছিল। শত্রুদের নিমগ্ন হতে দেখলেই কেবল তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করতে পারত। আজকে আমাদের শত্রুরা পরাজিত হওয়ার আগেই আমরা ঈশ্বরের প্রশংসা করতে পারি। এটি বিশ্বাস দ্বারা চলিত হওয়া এবং দৃশ্য বিষয়ের ভিত্তিতে নয়।

গীতসংহিতা ১৪৯ অধ্যায় সর্বদা প্রভুর প্রশংসা করার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানায়। "তিনি নম্রদিগকে পরিত্রাণে ভূষিত করিবেন" (গীতসংহিতা ১৪৯:৪)। আপনি যদি চান প্রভু আপনাকে সুন্দররূপে ভূষিত করুন, তবে আপনাকে অবশ্যই নম্র হতে হবে। আমরা আহূত হয়েছি আনন্দসহ ঈশ্বরের স্তব করতে এমনকি আমাদের শয্যাতেও এবং আমাদের মুখে সর্বদা ঈশ্বরের মহা প্রশংসা করতে এবং শয়তান ও তার মন্দদূতদের শক্তি এবং ক্রিয়াকলাপকে আবদ্ধ করার জন্য আমাদের হাতে ঈশ্বরের বাক্য রাখতে (গীতসংহিতা ১৪৯:৫-৮)। ঈশ্বরের প্রশংসা এবং শয়তানের শক্তিকে আবদ্ধকরণ সর্বদা একসাথে চলে।

গীতসংহিতা ১৫০: তেরো বার আমরা এই গীতটিতে "প্রশংসা" শব্দটি পড়ি, "শ্বাসবিশিষ্ট সকলেই সদাপ্রভুর প্রশংসা করুক" (গীতসংহিতা ১৫০:৬) এই বলে শেষ করা হয়। কেবল এক প্রকার ব্যক্তিই ঈশ্বরের প্রশংসা করতে পারে না - যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে না, মৃত ব্যক্তি। বাকী সমস্ত লোকদেরকে অবশ্যই সর্বদা প্রভুর প্রশংসা করতে হবে। আমাদের জীবনে এমনটাই হোক। আমেন।