WFTW Body: 

ঈশ্বরের অনুগ্রহ না পেয়ে কেউ-ই নূতন নিয়মের আদেশ পালন করতে পারে না। কেউ কেউ অনুগ্রহ ছাড়াই নিয়মের দশটি আদেশের প্রথম নয়টি নিয়ম পালন করতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু দশম আদেশ - "যা তোমার নয় তার প্রতি কখনোই লালসা করো না" - ঈশ্বরের অনুগ্রহ ছাড়া কেউ পালন করতে পারবে না। আর অনুগ্রহ ছাড়া কেউই নূতন নিয়মের জীবনের উচ্চ সীমায় উঠতে পারে না (মথি ৫ থেকে ৭ অধ্যায়ে বর্ণিত)। আর ঈশ্বর তাঁর অনুগ্রহ শুধুমাত্র নম্রদের দেন (১ পিতর ৫:৫)৷

নম্রতা এমন একটি গুণ যা খুব সহজেই নকল করা যায়। প্রকৃত নম্রতা এমন কিছু নয় যা অন্যরা আমাদের মধ্যে দেখতে পায়। যেটা কেবল ঈশ্বর আমাদের মধ্যে দেখেন এবং এটি অন্তর্নিহিত। প্রভুযীশুর জীবনে এর উদাহরণ রয়েছে। ফিলিপীয় ২:৫-৮ আমাদের বলে যে যীশু ঈশ্বর হিসাবে তাঁর বিশেষাধিকার এবং ক্ষমতা ত্যাগ করেছিলেন এবং একজন দাস হয়েছিলেন এবং মানুষের দ্বারা ক্রুশবিদ্ধ হতে স্বেচ্ছায় প্রস্তুত ছিলেন। আমাদেরকে সেই নম্রতার পথে তাঁকে অনুসরণ করতে হবে।

প্রভুযীশু নিজেকে ৩ টি ধাপে নম্র করেছিলেন।

১. তিনি একজন মানুষে পরিনত হয়েছিলেন।

২. তিনি একজন দাসের রূপ ধারণ করেছিলেন।

৩. ক্রুশে, তাঁর সাথে একজন অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হবে তার জন্য তিনি প্রস্তুত হয়েছিলেন।

সেখানে আমরা খ্রীষ্টীয় জীবনের তিনটি রহস্য দেখতে পাই: নম্রতা, নম্রতা এবং নম্রতা।

স্বর্গদূতেরা নিশ্চয়ই বিস্ময়ের সাথে দেখেছিল যখন যীশু পৃথিবীতে ৩৩ বছর জীবনযাপন করেছিল এবং তারা তাঁকে এত নম্রভাবে অন্যদের সেবা করতে দেখেছিল, এবং ধৈর্যের সাথে কষ্ট, অপমান এবং আঘাত সহ্য করতে দেখেছিল। তারা স্বর্গে বছরের পর বছর ধরে তাঁর উপাসনা করতে অভ্যস্ত ছিল। কিন্তু যখন তারা পৃথিবীতে তাঁর আচরণ দেখেছিল, তখন তারা ঈশ্বরের প্রকৃতি সম্পর্কে আরও কিছু শিখেছিল - তাঁর নিরহঙ্কারতা এবং নম্রতা - যা তারা যীশু স্বর্গে থাকাকালীন সময় দেখেনি বা বোঝেনি। এখন ঈশ্বর স্বর্গে স্বর্গদূতদের দেখাতে চান যে খ্রীষ্টের সেই একই আত্মা আমাদের মাধ্যমে মণ্ডলীতে প্রকাশ পেয়েছে (যেমন ইফিষীয় ৩:১০ পদে বলা হয়েছে)। স্বর্গদূতেরা এখন আমাদের মধ্যে এবং আমাদের আচরণে কী দেখতে পায়? আমাদের আচরণ কি ঈশ্বরের গৌরব নিয়ে আসে?

মনে রাখবেন নম্রতা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ। নম্রতা স্বীকার করে যে আমরা যা আছি এবং আমাদের যা কিছু আছে সবই ঈশ্বরের উপহার। নম্রতা আমাদের সকল মানুষকে, বিশেষ করে দুর্বল, অসংস্কৃত, প্রতিবন্ধী এবং দরিদ্রদের গুরুত্ব ও সম্মান দিতে শেখায়। শুধুমাত্র সেই নম্রতার মাটিতে (পবিত্র) আত্মার ফল এবং খ্রীষ্টের গুণাবলী বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই নিজের সম্পর্কে একটি অবিরত বিচার করতে হবে, নিশ্চিত করতে হবে যে উচ্চ চিন্তার কোনো বিষ বা সম্মান-অন্বেষণ বা গৌরব যা ঈশ্বরকে দেওয়া উচিত তা কোনো সময় আপনার হৃদয়ে প্রবেশ না করে। প্রভু যীশুর নম্রতার বিষয়ে অনেক বেশি ধ্যান করুন। এটি আপনার কাছে আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ।

প্রভু যীশু তাঁর সত্তর জন শিষ্যকে বলেছিলেন, "আত্মারা যে তোমাদের বশীভূত হয়, ইহাতে আনন্দ করিও না; কিন্তু তোমাদের নাম যে স্বর্গে লিখিত আছে, ইহাতেই আনন্দ কর" (লূক ১০:২০)। আমাদের এই সকল বিষয়ে আনন্দ করা উচিত নয়: (ক) আমরা যা আছি; (খ) আমরা যা করেছি; অথবা (গ) আমরা যা করতে পারি। কিন্তু আমাদের আনন্দ করা উচিত: (ক) প্রভু কে; (খ) প্রভু যা করেছেন; এবং (গ) প্রভু যা করবেন। যখন আমরা আমাদের সামর্থ্য নিয়ে আনন্দ করি, তখন আমরা নিজেরাই গৌরব পাই এবং এটি আমাদেরকে অন্যান্য বিশ্বাসীদের থেকে উচ্চতর দেখায়। এটাই ফরীশীবাদ। আমরা তখন "আমাদের হস্তকৃত বস্তুতে আমোদ" করি (প্রেরিত ৭:৪১) - সেই কাজটি ভূত তাড়ানো, অসুস্থদের সুস্থ করা, বাক্য প্রচার করা, একটি নিবন্ধ লেখা, অতিথিপরায়ণ হওয়া, একটি ভাল খাবার রান্না করা, ভালভাবে গাড়ি চালানো, বা একটি চমৎকার উপায়ে কিছু পার্থিব কাজ করা, ইত্যাদি হতে পারে। নিজেদের জন্য গৌরব পেতে অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু এই সবই মূর্তিপূজা। এর পরিবর্তে, যখন আমরা শুধুমাত্র ঈশ্বরের দ্বারা কৃত কর্মে আনন্দ করি, এটি আমাদের নম্র রাখে, এবং আমরা অন্যান্য সমস্ত বিশ্বাসীদের সাথে সমান স্তরে থাকি, আর এইভাবে খ্রীষ্টের দেহ গঠন করা যেতে পারে।