WFTW Body: 

ঈশ্বরের অনেক লোক আজ বাবিলে আছেন - যেমনটা প্রকাশিত বাক্য ১৮:৪ পদ স্পষ্ট করে। সেই পদে ঈশ্বর তাদেরকে বলেছেন, "হে আমার প্রজাগণ, উহা হইতে বাহিরে আইস।" সমস্যা হলো তাদের নেতা এবং পালকদের সাথে, যারা পালকে বিপথে নিয়ে যায়। প্রভু যীশুর সময়ের মতো, আজও ঈশ্বরের অনেক লোক "প্রকৃত পালকবিহীন মেষপালের" মতো (মথি ৯:৩৬)। চিন্তা করুন যখন যীশু ১২ বছর বয়স থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি বছরে তিনবার যিরূশালেম মন্দিরে এবং প্রতি সপ্তাহে নাসরতের সমাজগৃহে যেতেন, তখন তিনি ঈশ্বরের অমান্যতা দেখতেন। কিন্তু তিনি সেই সম্পর্কে কিছুই বলেননি এবং করেননি, কারণ তখনও ঈশ্বরের সময় হয়নি৷ কিন্তু সেই বছরগুলি এবং সেই অভিজ্ঞতাগুলি নাসরতে তাঁর শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল পরবর্তী সময়ে তাঁর সেবাকার্যের জন্য।

মথি ১৯:২৭ পদে (লিভিং বাইবেল) বাবিলীয় আত্মার সত্তাটি দেখা যায় প্রভু যীশুর প্রতি পিতরের কথায়, "আমরা তবে কি পাইব?" আমরাও ভাবতে পারি, যদি আমরা প্রভুর জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করে থাকি, তাহলে তিনি আমাদেরকে কীভাবে পুরস্কৃত করবেন - এখানে পৃথিবীতে এবং পরে স্বর্গে। এটি প্রমাণ করে যে আমরা ধার্মিকতাকে নিজেদের লাভের উপায় হিসাবে ভাবছি এবং আমাদের চিন্তায় আত্মকেন্দ্রিকতা রয়েছে। কেউ কেউ তাদের প্রচার এবং প্রভুর জন্য তাদের সেবার মাধ্যমে পৃথিবীতে অর্থ বা সম্মান চাইতে পারেন। অন্যেরা স্বর্গে খ্রীষ্টের বধূ হিসাবে একটি পুরস্কার বা জায়গা পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। যাই হোক না কেন, যতক্ষণ আমরা নিজেদের জন্য কিছু চাইছি, ততক্ষণ আমাদের মধ্যে বাবিলীয় আত্মা রয়েছে। এটি সেই আত্মার জঘন্যতা, যার থেকে আমাদের নিজেদেরকে পরিষ্কার করতে হবে।

পিতর যখন জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি প্রভুর সেবা করে কী পেতে পারেন, তখন প্রভু যীশু মথি ২০:১-১৬ পদে একটি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে উত্তর দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দুই প্রকারের শ্রমিকের কথা বলেছেন: (১) যারা পুরষ্কার (বেতন)-এর জন্য কাজ করেছেন - কেউ এক দিনের মজুরির (দিনে এক সিকি) জন্য (পদ ২) এবং কেউ "ঘন্টা হিসাবে উপযুক্ত মজুরির" জন্য (পদ ৪) - তবে উভয়ই মজুরির জন্য কাজ করেছে; (২) কয়েকজন মজুরির প্রতিশ্রুতি ছাড়াই কাজ করতে গিয়েছিল (পদ ৭)। এই দ্বিতীয় প্রকারের শ্রমিকরা সর্বোচ্চ মজুরি পেয়েছে - প্রতি ঘন্টায় এক দিনের মজুরি। অন্যেরা কম পেয়েছে - প্রথম শ্রমিকেরা প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ০.০৮ সিকি পেয়েছে, কারণ তারা এক সিকির জন্য ১২ ঘণ্টা কাজ করেছে। এইভাবে, প্রভুযীশু সেখানে বলেছিলেন, এখন যারা শেষে আছে তারা অনন্তকালের মধ্যে প্রথম হবে - কারণ প্রভু "প্রত্যেক মানুষের কার্যের গুণমান এবং উদ্দেশ্য পরীক্ষা করবেন" (১ করিন্থীয় ৩:১৩ এবং ৪:৫) এবং তাদের কাজের পরিমাণ নয়।

যারা যিরূশালেমের বাজারে নিজেদের জন্য অর্থোপার্জন করছিল তাদেরকে যীশু কখনও তাড়িয়ে দেননি। না। কারণ বাজার হলো অর্থ উপার্জনের সঠিক জায়গা। জন ওয়েসলি বলেছিলেন যে খ্রীষ্টানদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে যথা সাধ্য ধন উপার্জন করা উচিত। আমি এই ক্ষেত্রে একমত। প্রভু যীশু কেবল তাদেরই তাড়িয়ে দিয়েছিলেন যারা ঈশ্বরের গৃহে নিজেদের জন্য লাভের চেষ্টা করছিল। আজও তাই; প্রভু যীশু তাদেরকে মণ্ডলী থেকে বিতাড়িত করবেন যারা মণ্ডলীতে নিজেদের জন্য সম্মান বা খ্যাতি বা অর্থ বা অন্য কোন ধরনের লাভের অন্বেষণ করে। মণ্ডলী ত্যাগের একটি স্থান হওয়া উচিৎ। সখরিয়র শেষ পদটি বলে যে প্রভু যখন ফিরে আসবেন, "আর সেই দিন বাহিনীগণের সদাপ্রভুর গৃহে কোন ব্যবসায়ী আর থাকিবে না" (সখরিয় ১৪:২১ - লিভিং বাইবেল)। আমরা আমাদের প্রভুর জন্য যে সেবা করি তাতে আমাদের নিজেদের জন্য কখনো কিছু অন্বেষণ করা উচিত নয়।

যদিও প্রভুর কাছে তাদের জন্য পুরষ্কার রয়েছে যারা বিশ্বস্তভাবে তাঁর সেবা করেন, যেমন মথি থেকে প্রকাশিত বাক্য পর্যন্ত নূতন নিয়মে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তবুও আমাদের অবশ্যই পুরষ্কারের জন্য কাজ করা উচিত নয়। কালভারিতে তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন তার জন্য আমরা প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ হিসাবে কাজ করি। পুরষ্কারের জন্য যারা কাজ করে তারা কোনটাই পাবে না!