WFTW Body: 

দায়ূদ গীতসংহিতা ২৭:৪ পদে বলছেন, "সদাপ্রভুর কাছে আমি একটী বিষয় যাচ্ঞা করিয়াছি, তাহারই অন্বেষণ করিব, যেন জীবনের সমুদয় দিন সদাপ্রভুর গৃহে বাস করি, সদাপ্রভুর সৌন্দর্য্য দেখিবার ও তাঁহার মন্দিরে অনুসন্ধান করিবার জন্য।"

দায়ূদ একজন মহান রাজা ছিলেন। তিনি ধনী ছিলেন, তিনি অনেক যুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন এবং তাঁর অনেক খ্যাতি ছিল। তবুও তিনি বলেছেন, "আমি সন্তুষ্ট নই। একটি বিষয় আমি প্রভুর কাছে চেয়েছি। এটি নয় যে আমি সারা বিশ্বের রাজা হবো, বা আমি একজন মহান প্রচারক হবো, বা আমি খুব বিখ্যাত হয়ে উঠব। তবে আমি প্রভুর কাছে একটি বিষয় চেয়েছিলাম যাতে আমি আমার প্রভুর সৌন্দর্য দেখতে পারি এবং আমার সারাজীবন ধরে আমি যেন তাঁর সৌন্দর্য আরও বেশি করে অবিরত দেখতে থাকি"। এটাই কি আমাদের জীবনেরও একটি চাওয়া?

যোহন ২০ অধ্যায়, আমরা অন্য একজন ব্যক্তির কথা পড়ি যার শুধুমাত্র এই একটি ইচ্ছা ছিল। তিনি ছিলেন মগ্দলীনী মরিয়ম। রবিবার খুব ভোরবেলায় তিনি কবরের নিকটে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ঘুমাচ্ছিলেন না কেন? কেন তিনি এত তাড়াতাড়ি জেগে উঠলেন, যদিও তখন অন্ধকার ছিল, এবং কবরের নিকটে গেলেন? কারণ তাঁর জীবনে একটিই আকাঙ্ক্ষা ছিল, আর তা হলো তার প্রভুকে দর্শন করা। আমরা পড়ি যে যখন তিনি কবরের নিকটে আসেন, তখন তিনি সেটিকে খালি দেখতে পান। তাই, তিনি দৌড়ে গেলেন এবং অন্য কয়েকজন শিষ্যকে বললেন। তাঁরাও এসে কবরটি দেখলেন, এবং তারপর তাঁরা তাঁদের বাড়িতে ফিরে গেলেন, সম্ভবত আবার ঘুমাতে।

কিন্তু মগ্দলীনী মরিয়ম কবরের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। আপনি দেখুন, শিষ্যরা প্রভুকে ততটা ভালোবাসেননি যতটা মরিয়ম ভালোবেসে ছিলেন। শিষ্যরা, খালি কবর দেখে আবার ঘুমাতে গেলেন। কিন্তু মরিয়ম তা করতে পারেননি, কারণ যীশুই তাঁর জন্য সবকিছু ছিলেন। মণ্ডলীতে আজ ঈশ্বরের এমন লোকের প্রয়োজন। প্রভু যীশু যখন মগ্দলীনী মরিয়েমর কাছে এসেছিলেন, তখন তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি মালি, এবং তাই তিনি তাঁকে বললেন, "মহাশয়, আপনি যদি তাঁহাকে লইয়া গিয়া থাকেন, আমায় বলুন, কোথায় রাখিয়াছেন; আমিই তাঁহাকে লইয়া যাইব" (যোহন ২০:১৫)। এমনকি দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্যও তিনি প্রস্তুত ছিলেন। এখন আপনি জানেন, একজন মহিলার পক্ষে মৃতদেহ বহন করা প্রায় অসম্ভব। কিন্তু প্রভুর প্রতি তার ভালবাসা এতটাই মহান ছিল যে, তিনি তাঁর জন্য যেকোনো প্রকার কষ্ট সহ্য করতে ইচ্ছুক ছিলেন। এটাই "ঈশ্বরের শ্রীমুখ অন্বেষণ"-এর অর্থ। এর অর্থ হলো, একটিই আকাঙ্ক্ষা থাকা - তা হলো প্রভুর সৌন্দর্য দর্শন করা - আর কিছুই নয়। এই পৃথিবীতে ধনী বা মহান ব্যক্তি হওয়া আমার জন্য নয়, বরং দিন প্রতিদিন আমার প্রভুর সৌন্দর্যকে আরও বেশি করে দর্শন করা।

আমার মনে আছে একজন লোকের গল্প যিনি একবার একজন বিধবার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন খুব দরিদ্র একজন মহিলা, কিন্তু তিনি প্রভুকে প্রেম করতেন। তার চার-পাঁচটি সন্তান ছিল এবং তিনি একটি অত্যন্ত ছোট মাটির কুঁড়েঘরে থাকতেন। লোকটি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার ঘরে এত আনন্দ-শান্তি কেমন করে? আপনার কাছে বেশি টাকা-পয়সা নেই। আপনার সন্তানরা সবাই অর্ধাহারে আছে, তবুও তারা সবসময় হাসিমুখে আছে। আপনার বাড়িতে অনেক অসুবিধা ও অসুস্থতা রয়েছে এবং তবুও আপনি সর্বদা আনন্দ করছেন। আপনার জীবনের রহস্য কি? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, "যীশু খ্রীষ্টই আমার কাছে সবকিছু। এই পৃথিবীতে আমার আর কিছুর দরকার নেই।"

প্রিয়তমেরা, যদি প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আমাদের সবকিছু হয়ে ওঠেন, আমরাও তার (বিধবা মহিলার) মতো হবো৷