সত্য এবং মিথ্যা সুসমাচার

Article Body: 

খ্রীষ্টিয়ানদের সাধারণতঃ নিন্মলিখিত দুটি শ্রেণী যুক্ত কতগুলো ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

১। "রোমান ক্যাথলিক" এবং "প্রোটেস্টাণ্ট" - জন্মের ওপর ভিত্তি করে।

২। "এপিস্কোপাল" (সরকার অনুমোদিত গীর্জার অনুগামী ব্যক্তি) এবং "ফ্রি চার্চ" (সরকার অনুমোদিত গীর্জার অনুগামী ব্যক্তি নয়) - চার্চের আদর্শের ওপর নির্ভরশীল।

৩। "নতুন জন্মপ্রাপ্ত" এবং "তথাকথিত খ্রীস্টান" - "অভিজ্ঞতার" ওপর নির্ভরশীল।

৪। "সুসমাচার প্রসার সংক্রান্ত" এবং "সংস্কার মুক্ত" - মতবাদের ওপর নির্ভরশীল।

৫। "ঐশ্বরিকশক্তির ওপর বিশ্বাসী" এবং "ঐশ্বরিকশক্তির ওপর অবিশ্বাসী" - "পরভাষায় কথা বলার ওপর নির্ভরশীল"।

৬। " পূর্ণ-সময়ের খ্রীস্টীয়ান কর্মী" এবং "ধর্ম নিরপেক্ষ কর্মী" - জীবিকার ওপর নির্ভরশীল।

এরকম আরো অন্যান্য শ্রেণী-বিভাগও থাকতে পারে। কিন্তু মূল যে সমস্যার সমাধান করার জন্য আমাদের প্রভু এসেছিলেন এই সকল শ্রেণীভুক্তদের মধ্যে কেউই সেই সমস্যা নিয়ে কাজ করেনি।

অনেকেই জানেন যে "খ্রীষ্ট আমাদের সমস্ত পাপের জন্য মৃত্যুবরণ করেছিলেন" যাতে আমরা আর কখনো নিজেদের জন্য না বাঁচি, কিন্তু তার জন্য বাঁচি" (২ করি ৫ ১৫)।

সুতরাং, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্টিয়ানদের নিম্নলিখিত আরও কয়েকটি শ্রেনীতে ভাগ করা যায়ঃ

"যারা নিজেদের জন্যে বাঁচেন" এবং "যারা খ্রীষ্টের জন্য বাঁচেন"; অথবা

"যারা নিজের বিষয় যাঞ্চা করেন" এবং "যারা খ্রীষ্টের বিষয় সকল যাঞ্চা করেন"; অথবা

" যারা প্রথমে জাগতিক বিষয় সকল যাঞ্চা করেন" এবং "যারা প্রথমে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় সকল যাঞ্চা করেন"; অথবা

" যারা টাকাকে প্রেম করেন" এবং "যারা ঈশ্বরকে প্রেম করেন"। ( যীশু বলেছিলেন যে উভয় বিষয়কে প্রেম করা অসম্ভব - লূক ১৬ঃ ১৩)

আমি কখনও এই ধরণের শ্রেণী বিভাগের কথা ব্যবহার হওয়ার বিষয় শ্রবণ করিনি। এই ধরণের শ্রেণীগুলোতে খ্রীষ্টিয়ানদের আভ্যন্তরীণ জীবন এবং ঈশ্বরের সঙ্গে ব্যক্তিগত গমণের বিষয় নিয়ে কাজ করা হয়েছে। যখন পূর্ববর্তী যে পদ্ধতিগুলোর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে সেই পদ্ধতিগুলো তার জীবনের বাহ্যিক বিস্তারিত বিষয়গুলোর উপর কাজ করে। তথাপি পরবর্তী এই পদ্ধতিগুলোতে স্বর্গ খ্রীষ্টিয়ানদের শ্রেণী বিভাগ করে। এবং এটাই যদি ঘটনা হয়, তবে এটাই হলো একমাত্র শ্রেণী বিভাজন যা আমাদের কাছে বিশেষভাবে বিবেচ্য! এই পদ্ধতিতে অন্যরা আমাদের শ্রেণী বিভক্ত করে না, আমাদের নিজেদের নিজের শ্রেণী নির্ধারণ করতে হয় - কারণ অন্য কোন ব্যক্তি নন, কিন্তু আমরা নিজেরাই আমাদের আভ্যন্তরীণ অভিপ্রায় এবং বাসনাগুলো জানি। এমনকি আমাদের স্ত্রীরাও না জানতে পারেন যে আমরা কিসের জন্য জীবন যাপন করছি।

প্রাথমিকভাবে আমাদের প্রভু লোকদের কোন মতবাদ, অথবা একটি মণ্ডলীর নমুন্ব অথবা তাদের পরভাষায় কথা বলানোর জন্য অথবা তাদের পরভাষা সম্পর্কে একটি অভিজ্ঞতা দানের জন্য আসেননি!

তিনি আমাদের "পাপ থেকে রক্ষা করার জন্য" এসেছিলেন। তিনি গাছের মূলে কুঠারাঘাত করার জন্য এসেছিলেন। এবং পাপের মূল হলো আত্মকেন্দ্রীক হওয়া, নিজের বিষয় অন্বেষণ করা এবং নিজের ইচ্ছা অনুসারে কাজ করা। আমরা যদি প্রভুকে কুঠার না ধরতে দিই এবং আমাদের জীবন থেকে এই মূল উৎপাটিত করতে না দিই, তবে আমরা কেবলমাত্র ওপরে ওপরেই খ্রীষ্টান হব। যাইহোক, আমাদের মতবাদ অথবা আমাদের অভিজ্ঞতা অথবা আমাদের মণ্ডলীর আদর্শের জন্য শয়তান সর্বদা আমাদের অন্য খ্রীষ্টিয়ানদের থেকে উন্নত শ্রেণীর খ্রীষ্টিয়ান রূপে কল্পনা করার জন্য প্ররোচিত করে!

এমন কি যতক্ষণ আমরা "নিজেদের জন্য জীবন যাপন করি" (এই বিষয়টিকে আরেক ভাবে বলা যায়, "পাপের মধ্যে বাস করা"!) ততক্ষণ আমাদের বিশ্বাসের মতবাদ সঠিক হলেও শয়তান তার তোয়াক্কা করে না। বর্তমানে খ্রীষ্টিয় জগৎ এই ধরণের খ্রিষ্টিয়ানে পরিপূর্ণ হয়ে আছে যারা তাদের নিজেদের জন্য কিছু পাওয়ার চেষ্টা করছে এবং নিজেদের জন্য জীবন যাপন করছেন, তারা মনে করছে যে তাদের মতবাদের অথবা মণ্ডলীর আদর্শের অথবা তাদের " অভিজ্ঞতার" ভিন্নতার জন্য ঈশ্বরের দৃষ্টিতে তারা অন্য খ্রীষ্টিয়ানদের থেকে শ্রেষ্ঠ। যোহন ৬ ৩৮ পদে আমাদের প্রভু বলেছিলেন যে তিনি স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন

১। তাঁর মানবিক ইচ্ছাকে অস্বীকার করার জন্য (যা তিনি লব্ধ করেছিলেন, যখন তিনি মানবরূপে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন), এবং

২। একজন মানুষ হিসেবে তার পিতার ইচ্ছা পালন করার জন্য। এইভাবে তিনি আমাদের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়েছিলেন।

যীশু সমগ্র জাগতিক জীবনে - সাড়ে তেত্রিশ বছর যাবৎ - তিনি নিজের ইচ্ছাকে অস্বীকার করেছিলেন এবং তাঁর পিতার ইচ্ছানুসারে কাজ করেছিলেন। তিমি তাঁর শিষ্যদের স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে যারা তার শিষ্য হতে চান তারাও যেন একই ভাবে কাজ করেন। তিনি আমাদের জীবনের পাপের মূলে আঘাত করতে এসেছিলেন- সেই পাপটি হল " আমাদের নিজের ইচ্ছানুসারে কাজ করা"- এবং তিনি আমাদের এই পাপ থেকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন।

পৃথিবী বিশ্বের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এই বিষয়টি অনুমান করে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে লোকেরা হাজার হাজার বছর ধরে ভুল করেছিল। মানুষের দৃষ্টিতে বিষয়টি এরকমই মনে হত - কারণ সূর্য, চন্দ্র এবং নক্ষত্রমণ্ডল বাস্তবিকই প্রতি ২৪ ঘন্টা অন্তর একবার করে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে আবর্তন করছে বলে মনে হত। মাত্র ৪৫০ বছর পূর্বে কোপারনিকাসের মত একজন লোককে এই জনপ্রিয় ধারণাটির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার জন্য এবং এটা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তা দেখানোর জন্য সাহসী হতে হয়েছিল। এমনকি পৃথিবী বিশ্বকে একাকী ছেড়ে দিয়ে সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থিত ছিল না। তিনি যে পৃথিবীকে দেখিয়েছিলেন তা সূর্যকে কেন্দ্র করে করে আবর্তিত হওয়ার জন্য সৃষ্ট হয়েছিল। যতদিন মানুষের কেন্দ্র ভুল ছিল, ততদিন তার বৈজ্ঞানিক গণনা এবং সিদ্ধান্তগুলোও ভুল ছিল- কারণ তার কেন্দ্রই ভুল ছিল। কিন্তু মানুষ যেই সঠিক কেন্দ্র আবিষ্কার করেছিল, তখনই এই গণনা এবং সিদ্ধান্তগুলোও সঠিক হয়েছিল।

আমরা যখন "ঈশ্বর-কেন্দ্রীক" না হয়ে "আত্মকেন্দ্রীক" হই, তখন আমাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। বাইবেলের বিষয়ে আমাদের উপলব্ধি এবং ঈশ্বরের সিদ্ধ ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাদের উপলব্ধি (আমাদের গণনা এবং সিদ্ধান্তগুলো) তখন ভুল হয়। কিন্তু যেভাবে লোকেরা ৫০০০ বছর ধরে মনে করে এসেছিল যে তাদের ধারণা সঠিক, সেইভাবে আমরাও কল্পনা করি যে আমরা সঠিক! কিন্তু প্রকৃতভাবে আমরা ১০০ ভাগ ভুল।

এটাই বর্তমানে অসংখ্য "ভাল খ্রীষ্টিয়ানদের" মধ্যে আমরা দেখতে পাই। তাদের এই একই বাইবেলের বিভিন্ন ব্যাখ্যা থাকে- তথাপি তাদের মধ্যে প্রত্যেকেই মনে করেন যে ব্যক্তিগতভাবে কেবলমাত্র তার ব্যাখ্যাটাই সঠিক এবং অন্যরা সকলেই ভুল। অন্যদের তারা "প্রতারিত" বলে মনে করেন।কেন এরকম হয়? কারণ তারা ভুল কেন্দ্র পেয়েছেন।

মানুষকে ঈশ্বর-কেন্দ্রীক হওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল, আত্মকেন্দ্রীক হওয়ার জন্য নয়। এবং খ্রীষ্টিয়ানরা যখন তাদের ভুল কেন্দ্র পান, তখন তাদের "সুসমাচারও" ভুল হয়। প্রাথমিকভাবে এখানে আজ দুটি সুসমাচার প্রচার করা হল - একটি হল মানব-কেন্দ্রীক এবং অন্যটি হল ঈশ্বর-কেন্দ্রীক। মানব-কেন্দ্রীক সুসমাচার মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞা করে যে তাদের এই পৃথিবীতে আরামে থাকার জন্য যা কিছু প্রয়োজন ঈশ্বর তাদের সব কিছু দেবেন এবং তাদের জীবন শেষ হওয়ার পরে তিনি তাদের স্বর্গে একটি আসনও দেবেন।মানুষকে বলা হয় যে যীশু তার সমস্ত পাপ ক্ষমা করবেন, তাকে সমস্ত রোগ থেকে আরোগ্য করবেন, তাকে বস্তুগতভাবে আশির্বাদ করবেন এবং সমৃদ্ধি দেবেন, তার সমস্ত পার্থিব সমস্যাগুলো সমাধান করবেন, ইত্যাদি, ইত্যাদি।

এই ধরণের মানুষের কেন্দ্রে তখনও আত্ম-কেন্দ্রীকতা থাকে এবং তার সমস্ত প্রার্থনার উত্তর দানের জন্য এবং সে যা চাইবে তা তাকে দেবার জন্য ঈশ্বর তার চারিদিকে - তার ভৃত্যের মত - আবর্তিত হন!! তাকে কেবলমাত্র "বিশ্বাস" করতে হবে এবং তাকে সমস্ত বস্তুগত আশীর্বাদ যীশুর নামে দাবী করতে হবে!!

এটা হল মিথ্যা সুসমাচার, কারণ এখানে "অনুতাপের" বিষয় কোন উল্লেখ করা হয় না। অনুতাপ হল এমন একটা বিষয় যা বাপ্তিস্মদাতা যোহন, যীশু, পৌল, পিতর এবং সমস্ত প্রেরিতগণ সর্ব্ব-প্রথম বিষয় হিসাবে প্রচার করেছিলেন। এবং দুর্ভাগ্যবশতঃ বর্তমানে অনুতাপের বিষয়টি সর্ব্ব-শেষ বিষয় হিসাবেও প্রচারিত হয় না!!

অপর দিকে ঈশ্বর-কেন্দ্রীক সুসমাচার মানুষকে অনুতাপের আহ্বান জানায়। ইহা "অনুতাপের" অর্থ ব্যাখ্যা করে একজনের জীবনের আত্ম-কেন্দ্রীকতা থেকে,এক জনের নিজস্ব ইচ্ছানুসারে কাজ করার লক্ষ্য থেকে, এক জনের আত্ম-মনোনীত পথে চলার থেকে, অর্থকে প্রেম করার থেকে এবং জগৎকে প্রেম করার থেকে এবং জগতিস্থ বিষয়গুলো থেকে (মাংসিক অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ এবং জীবনের গর্ব), ইত্যাদি বিষয়গুলো থেকে ঈশ্বরের প্রতি ফিরে আসা, এক জনের সমগ্র অন্তর দিয়ে তাঁকে প্রেম করা, এক জনের জীবনে তাকে কেন্দ্রে বসান এবং এরপর থেকে তাঁর ইচ্ছা অনুসারে কাজ করা ইত্যাদি।

ক্রুশের ওপর খ্রীষ্টের মৃত্যুর প্রতি বিশ্বাসের দ্বারা এক ব্যক্তির সমস্ত পাপ কেবলমাত্র তখনই ক্ষমা হতে পারে যখন সেই ব্যক্তি অনুতপ্ত হন। তখন তিনি প্রতিদিন নিজেকে অস্বীকার করার জন্য প্রয়োজনীয় পবিত্র আত্মার শক্তি লাভ করতে পারেন যাতে তিনি ঈশ্বর-কেন্দ্রীক জীবন যাপন করতে পারেন। এই সুসমাচারই যীশু এবং প্রেরিতগণ প্রচার করেছিলেন।

মিথ্যা সুসমাচার দ্বার বিস্তার করে এবং পথ প্রশস্ত করে( পথ চলা সহজ হয়, কারণ এক জনকে নিজেকে অস্বীকার করতে হয় না অথবা একজনকে তার নিজের স্বার্থের জন্য জীবন যাপন করা বন্ধ করতে হয়না অথবা এক জনকে নিজের ব্যক্তিগত লাভের চেষ্টা বন্ধ করতে হয় না)। যেখানে এই ধরণের মিথ্যা "সুসমাচার" প্রচারিত হয় সেই সভাগুলোতে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হয়। এবং অসংখ্য লোক এই দ্বার দিয়ে প্রবেশ করে এবং এইপথ দিয়ে চলে, তারা মনে করে যে এটা তাদের জীবনের প্রতি পরিচালনা করবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা বিনাশের দিকে পরিচালনা করে। যাইহোক, এই সুসমাচারের প্রচারকেরা উল্লসিত হন এবং এই সভায় কত অসংখ্য মানুষ "হস্ত উত্তেলিত করেছেন এবং খ্রীষ্টকে গ্রহণের সীদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন" সেই বিষয়ে তারা রিপোর্ট দেন!! কিন্তু এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে প্রতারণা।যদিও কিছু সংখ্যক লোক তাদের আন্তরিকতার জন্য প্রকৃতরূপে ধর্মান্তরিত হন, কিন্তু এই ধরণের অধিকাংশ "ধর্মান্তরিতগণ" শেষ পর্যন্ত "দুইভাবে নরকের সন্তানে পরিণত হন" (মথি ২৩ ১ ৫)- তারা তাদের প্রকৃত অবস্থার বিষয়ে প্রতারিত হন।

যাইহোক, সত্য সুসমাচার দ্বারকে ক্ষুদ্র করে এবং পথকে সংকীর্ণ করে- যীশু নিজে তা যত ক্ষুদ্র এবং সংকীর্ণ করেছিলেন তার থেকে অধিক ক্ষুদ্র এবং সংকীর্ণ নয়, যেমন কিছু সংখ্যক "অতি-আত্বিক" ধর্মান্ধ ব্যক্তিগণ করে থাকেন, কিন্তু যীশু যেমন ক্ষুদ্র এবং সংকীর্ণ করেছিলেন ঠিক সেই একই পরিমাপের হয়।এইভাবে খুব কম সংখ্যক ব্যক্তিই তাদের জীবনের পথ খুঁজে পান। এই সুসমাচারের প্রচারকগণ এই বিষয়ে খুব কমই রিপোর্ট দিতে পারেন এবং এর ফলে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানও খুব একটা প্রভাবকারী হয় না। কিন্তু এই সুসমাচার লোকদের প্রভু যীশুর কাছে এবং স্বর্গের প্রতি পরিচালনা করে।

আপনি কিভাবে শুনছেন সেই বিষয়ে সাবধান হন। যেই সকল ব্যক্তি তারা যা কিছু শ্রবণ করেন তা যদি পালন করেন, তবে তাদের আরও দীপ্তি এবং উপলব্ধি প্রদত্ত হবে। কিন্তু যারা শ্রবণ করেন তা পালন করেন না তাদের কাছে যে দীপ্তি এবং উপলব্ধি আছে তাও তাদের কাছ থেকে হরণ করা হবে"। (লুক ৮ ১৮ পদের শব্দান্তর)।

যার কাছে শ্রবণের নিমিত্ত কর্ণ আছে, সে শ্রবণ করুক।