লিখেছেন :   জ্যাক পুনেন বিভাগগুলি :   ঈশ্বরকে জানা শিষ্য
WFTW Body: 

১. ঈশ্বর প্রভু যীশুকে যেমন প্রেম করতেন তেমনি আমাদেরও প্রেম করেন

"আমাকে যেমন প্রেম করিয়াছ, তেমনি তাহাদিগকেও প্রেম করিয়াছ" (যোহন ১৭:২৩)। এটিই সবচেয়ে বড় সত্য যা আমি বাইবেলে খুঁজে পেয়েছি। এটি আমাকে একজন নিরাপত্তাহীন, হতাশাগ্রস্ত বিশ্বাসী থেকে এমন এক ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত করেছে যে ঈশ্বরে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সর্বদা প্রভুর আনন্দে পূর্ণ। বাইবেলে এমন অনেক পদ আছে যা আমাদেরকে বলে যে ঈশ্বর আমাদের প্রেম করেন, কিন্তু শুধুমাত্র এই পদটি যা আমাদের সেই প্রেমের গভীরতার বিষয়ে বলে - যেমন তিনি প্রভু যীশুকে প্রেম করতেন। যেহেতু আমাদের স্বর্গীয় পিতার কাছে তাঁর পুত্রদের প্রতি প্রেম করার বিষয়ে কোন পক্ষপাতিত্ব নেই, তাই তিনি অবশ্যই আমাদের জন্য, অর্থাৎ তাঁর পুত্রদের জন্য, সেই সব কিছু করতে ইচ্ছুক হবেন যা তিনি তাঁর প্রথমজাত পুত্র প্রভু যীশুর জন্য করেছিলেন। তিনি আমাদের সাহায্য করবেন যেমন তিনি যীশুকে সাহায্য করেছিলেন। তিনি যীশুর জন্য যতটা যত্ন করেছিলেন ততটাই তিনি আমাদের প্রতি যত্ন নেবেন। তিনি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি পরিকল্পনায় ততটাই আগ্রহী হবেন যতটা তিনি যীশুর জীবনের পরিকল্পনায় ছিলেন। আমাদের সাথে এমন কিছু ঘটতে পারে না যা ঈশ্বরকে অবাক করে দেবে। তিনি ইতিমধ্যে প্রতিটি ঘটনার জন্য পরিকল্পনা করেছেন। তাই আমাদের আর নিরাপত্তাহীন থাকার দরকার নেই। প্রভু যীশুর মতোই একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। এই সব আপনার জন্যও সত্য - কিন্তু শুধুমাত্র যদি আপনি এটি বিশ্বাস করেন। যে ঈশ্বরের বাক্যে বিশ্বাস করে না তার জন্য কিছুই কার্যকারী হবে না।

২. ঈশ্বর সৎ মানুষের উপর খুশি হোন

"তিনি যেমন জ্যোতিতে আছেন, আমরাও যদি তেমনি জ্যোতিতে চলি, তবে পরস্পর আমাদের সহভাগিতা আছে" (১ যোহন ১:৭)। আলোতে (জ্যোতিতে) চলার অর্থ হলো প্রথমত আমরা ঈশ্বরের কাছে কোনকিছুই গোপন করি না। আমরা তাঁকে সবকিছুই ব্যক্ত করি, ঠিক যেমনটি, তেমনটি। আমি নিশ্চিত যে ঈশ্বরের প্রতি প্রথম পদক্ষেপ হলো সততা। যারা ছলনাকারী তাদেরকে ঈশ্বর ঘৃণা করেন। প্রভু যীশু ভণ্ডদের বিরুদ্ধে যতকথা বলেছিলেন ততটা তিনি অন্য কারো বিরুদ্ধে বলেননি। ঈশ্বর আমাদেরকে প্রথমে পবিত্র বা নিখুঁত হতে বলেন না বরং সৎ হতে বলেন। এটাই প্রকৃত পবিত্রতার সূচনা। এবং এই প্রস্রবণ থেকে অন্য সবকিছু প্রবাহিত হয়। এবং যদি এমন একটি কাজ থাকে যা আমাদের সকলের পক্ষে করা সত্যিই সহজ, তা হলো সৎ হওয়া। সুতরাং, ঈশ্বরের কাছে অবিলম্বে পাপ স্বীকার করুন। পাপময় চিন্তাকে "সমুচিত (সভ্য)" নাম দিয়ে ডাকবেন না। বলবেন না "আমি কেবল ঈশ্বরের সৃষ্টির সৌন্দর্যকে প্রশংসা করছিলাম" যখন আপনি আসলে আপনার চোখ দিয়ে ব্যভিচারের লালসা করেছিলেন। ক্রোধ কে "ধার্মিক রাগ" বলে ডাকবেন না। আপনি কখনই পাপের উপর বিজয় লাভ করতে পারবেন না যদি আপনি অসৎ হোন। এবং কখনও "পাপ"-কে, "একটি ভুল" বলবেন না, কারণ প্রভু যীশুর রক্ত ​​আপনাকে আপনার সমস্ত পাপ থেকে শুদ্ধ করতে পারে, কিন্তু আপনার ভুল থেকে নয়!! তিনি অসৎ লোকদের শুদ্ধ করেন না। শুধুমাত্র সৎ মানুষের জন্য আশা আছে। "যে আপন অধর্ম্ম সকল ঢাকে, সে কৃতকার্য্য হইবে না" (হিতোপদেশ ২৮:১৩)। প্রভু যীশু কেন বলেছিলেন যে, ধর্মীয় নেতাদের চেয়ে বেশ্যাদের (পতিতাদের) এবং চোরদের ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশের আশা বেশি ছিল (মথি ২১:৩১)? কারণ পতিতা এবং চোরেরা পবিত্র হওয়ার ভান করে না। অনেক তরুণরা মণ্ডলীর থেকে দূরে সরে গেছে কারণ মণ্ডলীর সদস্যরা তাদের প্রতি এমন পরিচয় দেখায় যে তাদের নিজেদের কোন প্রতিকুল অবস্থায় সঙ্গে সংঘর্ষ নেই। আর তাই সেই তরুণরা মনে করে, "সেই পবিত্র ব্যক্তিগুলি আমাদের সমস্যাগুলো কখনোই বুঝতে পারবে না!" যদি আমাদের ক্ষেত্রে এটি সত্য হয়, তাহলে আমরা খ্রীষ্টের মত নই যিনি পাপীদেরকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করেছিলেন।

৩. ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দানকারীর প্রতি খুশি হোন

ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন" (২ করিন্থীয় ৯:৭)। এই কারণেই ঈশ্বর মানুষকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন - মন পরিবর্তনের আগে ও পরে এবং পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হওয়ার পরে। যদি আমরা ঈশ্বরের মতো হই, আমরাও অন্যদের নিয়ন্ত্রণ করতে বা তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইব না। আমরা তাদের স্বাধীনতা দেবো আমাদের থেকে আলাদা হওয়ার, আমাদের থেকে ভিন্ন মতামত রাখার এবং তাদের নিজস্ব গতিতে আধ্যাত্মিকভাবে বেড়ে ওঠার। যে কোনও ধরণের সমস্ত বাধ্যবাধকতা শয়তানের কাছ থেকে আসে। পবিত্র আত্মা মানুষকে পূর্ণ করেন, যেখানে মন্দ আত্মারা মানুষকে ধারণ (বশ) করে। পার্থক্য এই যে: পবিত্র আত্মা যখন কাউকে পূর্ণ করেন, তখনও তিনি সেই ব্যক্তিকে যা খুশি তা করার স্বাধীনতা দেন। কিন্তু যখন ভূতেরা মানুষকে বশ করে তখন তারা তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। আত্মায় পূর্ণ হওয়ার ফল হল আত্ম-নিয়ন্ত্রণ (গালাতীয় ৫:২২, ২৩)। মন্দ আত্মারা বশবর্তী হওয়ার ফলে অবশ্য আত্ম-নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আমরা ঈশ্বরের জন্য যে কোন কার্য করি তা যদি উৎসাহের সাথে, আনন্দের সাথে, অবাধে এবং স্বেচ্ছায় না করি তবে তা একটি মৃত কার্য। পুরস্কার বা বেতনের উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের জন্য করা যেকোনো কার্যও মৃত কার্য। যতদূর ঈশ্বর বিষয়ক, অন্যদের চাপে ঈশ্বরকে দেওয়া কোন অর্থের কোন মূল্য নেই!! কোন কিছুর বাধ্যবাধকতার অধীনে ঈশ্বরের জন্য একটি বড় কিছু করার চেয়ে, অথবা কেবল নিজের বিবেককে শান্ত করার জন্য কিছু করার চেয়ে, বরং উৎসাহের সাথে কোন ছোট কার্যকে ঈশ্বর অধিক মূল্য দেন।