লিখেছেন :   জ্যাক পুনেন বিভাগগুলি :   মণ্ডলী শিষ্য
WFTW Body: 

প্রভু যীশু আমাদের অর্থ-বিষয়ে একটি উদাহরণ দিয়েছেন যা অবশ্যই তাঁর সমস্ত মণ্ডলীর এবং যারা তাঁর সেবা করেন তাদের সেটা অনুসরণ করা উচিৎ।

যীশু তাঁর ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি যখন একজন ছুতোর কাজ করতেন, তখন তিনি সততার সঙ্গে কখনও কাউকে প্রতারণা না করে এবং কখনও ঋণে না পড়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন।

এরপরে, তিনি পরবর্তী ৩½ বছর পূর্ণ সময়ের সেবাকার্য করেছিলেন। এই সময়কালে, আর্থিক বিষয়ে তাঁর কিছু প্রখর নীতি ছিল। তাঁর প্রেরিতরা সেই নীতিগুলি যথাযথ এবং দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করেছিলেন। মণ্ডলী হল খ্রীষ্টের দেহ এবং সেইজন্য খ্রীষ্টের প্রথম দেহ (যীশু নিজেই) যা অনুসরণ করেছিলেন সেই একই নীতিগুলিকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। সমস্ত মণ্ডলীর এবং যারা খ্রীষ্টীয় কাজে নিযুক্ত আছেন তাদেরকে অবশ্যই সেই একই নীতি অনুসরণ করতে হবে।

সেই নীতিগুলি কী ছিল?

প্রথমে এবং সর্বাগ্রে , যেহেতু যীশু তাঁর পিতার দাস ছিলেন, তাই তিনি তাঁর সমস্ত পার্থিব প্রয়োজনীয় বস্তুর সরবরাহের জন্য একমাত্র তাঁর পিতার উপরেই বিশ্বাস করেছিলেন - ঠিক যেমন কোনও সংস্থার পক্ষে কর্মরত যে কেউ আশা করে যে সংস্থাটি তার আর্থিক প্রয়োজনের যত্ন নেবেন। তাই যীশু কখনই তাঁর পিতা ছাড়া অন্য কাউকে তাঁর আর্থিক প্রয়োজন সম্পর্কে কিছু বলেন নি। তিনি কখনই তাঁর সেবাকার্যের বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেননি এবং কোন সমর্থন পাওয়ার জন্য তিনি তাঁর কাজ সম্পর্কে কোন প্রতিবেদন কাউকে কখনও দেননি। ঈশ্বর স্বয়ং কিছু লোককে সরাসরি স্বেচ্ছায় যীশুকে উপহার দেওয়ার জন্য প্রেরণ করেছিলেন - এবং তিনি এই ধরনের উপহার গ্রহণ করেছিলেন। যীশু এইভাবে যে অর্থ পেয়েছিলেন তা রাখার জন্য একজন কোষাধ্যক্ষকে (যিহূদা) নিযুক্ত করেছিলেন।

লুক ৮:২, ৩ দেখুন, মরিয়ম মগ্দলীনি এবং যোহানা, যিনি হেরোদের পরিচালক কুষের স্ত্রী এবং শোশন্না ও অন্য অনেক স্ত্রীলোক ছিলেন, তাদের ব্যক্তিগত উপায়ে যীশু এবং ১২ জন শিষ্যদের সমর্থনে অবদান রেখেছিলেন" - এবং যীশু তাদের উপহার গ্রহণ করেছিলেন।

দ্বিতীয়ত , যীশু কীভাবে তাঁর প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করবেন সে সম্পর্কে খুব যত্নশীল ছিলেন। যোহন ১৩:২৯ আমাদেরকে ইঙ্গিত দেয় যে যীশু কীভাবে তাঁর অর্থ ব্যয় করেছিলেন। সেখানে যীশু যখন যিহূদাকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন, তখন অন্য প্রেরিতরা ভেবেছিলেন যে যীশু সবসময় যেভাবে তাঁর অর্থ ব্যয় করতেন, যিহূদাকে তিনি সেইভাবেই অর্থ ব্যয় করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। তা হল: (১)যা প্রয়োজন ছিল তা কিনতে; এবং (২) দরিদ্রদের প্রদান করা। আমাদের অর্থ ব্যয় করার ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সর্বদা আমাদের মূলনীতি হওয়া উচিত।

প্রেরিতরা সঠিক ভাবে যীশুর উদাহরণ অনুসরণ করেছিলেন। তাঁরাও তাঁদের স্বর্গীয় পিতাকে তাঁদের সমস্ত প্রয়োজনীয় বস্তুর সরবরাহের জন্য বিশ্বাস করেছিলেন। সুতরাং, তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় বস্তু বা তাঁদের সেবাকার্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কখনও কাউকে কিছু বলেন নি- মৌখিকভাবে বা চিঠির মাধ্যমে (তাদের অর্থের প্রয়োজনীয়তার পরিমানের বিষয়ে অপ্রত্যক্ষভাবে ইঙ্গিত করতেন না)। প্রেরিতরা যখনই মণ্ডলীগুলিকে অর্থ সংগ্রহের জন্য অনুরোধ করতেন, এটি সর্বদা দরিদ্র বিশ্বাসীদের কাছে বিতরণ করার জন্যেই হোত, তবে কখনই অন্য কোনও উদ্দেশ্যে নয় (২-করিন্থীয় ৮, ৯ এবং ১-করিন্থীয় ১৬:১-৩)।

কিছু লোক ১ তীমথিয় ৫:১৭, ১৮ কে ভুলভাবে উদ্ধৃত করে এবং শেখায় যে পালক এবং খ্রীষ্টান কর্মীদের অবশ্যই একটি ভাল বেতন দেওয়া উচিত। কিন্তু এই পদগুলি আসলে কী বলে?

"যে প্রাচীনেরা উত্তমরূপে শাসন করেন, বিশেষতঃ যাঁহারা বাক্যে ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন, তাঁহারা দ্বিগুন সমাদরের যোগ্য বলে গণিত হউন। কারণ শাস্ত্রে বলে, 'শস্য মর্দ্দনকারী বলদের মুখে জাল্‌তি বাঁধিও না;' আর, 'কার্য্যকারী আপন বেতনের যোগ্য'।"

এই পদগুলি অর্থ সম্পর্কে কিছুই বলে না, সেগুলি কেবল শেখায় যে, প্রাচীনেরা যাঁরা বাক্যে ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন বিশ্বাসীবর্গের দ্বারা অবশ্যই তাঁদের দ্বিগুণ সম্মান দেওয়া উচিত। যদি এই পদগুলিতে অর্থের বিষয়ে উল্লেখ করা হতো, তবে এর মানে হতো যে মণ্ডলীর প্রাচীনদেরকে অন্যদের চেয়ে দ্বিগুণ বেতন দেওয়ার জন্য ঈশ্বর মণ্ডলীগুলিকে নির্দেশ দিচ্ছেন!! ওটা হাস্যকর! পৌল এখানে বিশ্বাসীদের শিখিয়ে ছিলেন যে তাঁদের মণ্ডলীর প্রাচীনদেরকে প্রশংসা ও শ্রদ্ধা করতে। তিনি বলেছিলেন, "তাদের যথাযথ সম্মান দিন, ঠিক যেমন আপনি আপনার বলদকে যে পরিমাণ মাড়াই করা শস্য খেতে দেন"। সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কোনও প্রাচীনের প্রাথমিক মজুরি তাঁর পালের কাছ থেকে সম্মান (প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা) - তা কোন অর্থ নয়।

এই বিষয়টি ১ থিষলনীকীয় ৫:১২, ১৩ পদে পৌলের দেওয়া উপদেশের অনুরূপ "যাঁরা তোমাদের মধ্যে পরিশ্রম করেন ও প্রভুতে তোমাদের উপরে নিযুক্ত আছেন এবং তোমাদেরকে চেতনা দেন, তাঁদেরকে সম্মান দাও, আর তাঁদের কাজের জন্য তাঁদেরকে প্রেমে অতিশয় সমাদর কর।"

পৌল যদিও ১ করিন্থীয় ৯:৭-১৮ তে খ্রীষ্টান কর্মীদের আর্থিক সহায়তার কথা বলেছেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন: "কে কখন আপনি ধন ব্যয় করিয়া যুদ্ধে যায়? কে দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করে, আর তাহার ফল না খায়? অথবা কে পাল চরায়, আর পালের দুগ্ধ না খায়? আমরা যখন তোমাদের কাছে আত্মিক বীজ বপন করিয়াছি, তখন যদি তোমাদের মাংসিক ফল গ্রহণ করি, তবে তাহা কি মহৎ বিষয়?"

কিন্তু পৌল তখন অবিরত বলে চলেছেন, " তা সত্বেও আমরা এই কর্তৃত্ব ব্যবহার করিনি, কিন্তু সবই সহ্য করছি, যেন খ্রীষ্টের সুসমাচারের কোন বাধা সৃষ্টি না করি। এটা সত্য যে প্রভু সুসমাচার প্রচারকদের জন্য এই আদেশ দিয়েছেন যে, তাদের উপজীবিকা সুসমাচার থেকেই হবে কিন্তু আমি এর কিছুই ব্যবহার করি নাই। কেননা কেহ যে আমার শ্লাঘা নিষ্ফল করিবে, তা অপেক্ষা বরং আমার মরণ ভাল। কারণ আমি যদিও সুসমাচার প্রচার করি, তবু আমার শ্লাঘা করিবার কিছুই নাই; সুসমাচার প্রচার করা আমার কর্তব্য, কারণ এটি আমার অবশ্য করণীয়। ধিক্‌ আমাকে, যদি আমি সুসমাচার প্রচার না করি। বস্তুতঃ আমি যদি স্ব-ইচ্ছায় ইহা করি, তবে আমার পুরস্কার আছে; কিন্তু যদি স্ব-ইচ্ছায় না করি, তবুও ধনাধ্যক্ষের কার্য্য আমার হস্তে সমর্পিত রহিয়াছে তবে আমার পুরষ্কার (আমার বেতন) কি? তাহা এই যে, আমি যখন সুসমাচার প্রচার করি তখন আমি প্রত্যেককে বিনামূল্যে তা প্রদান করতে পারি । যেন সুসমাচার সম্বন্ধে যে অধিকার আমার আছে, তাহার পূর্ণ ব্যবহার না করি"।

সুতরাং পৌল কখনও বেতন বা উপহারের জন্য প্রচার করেননি, কিন্তু এই কারণে যে তিনি "খ্রীষ্টের প্রতি তাঁর ভালবাসার দ্বারা বাধ্য" ছিলেন এবং "ঈশ্বর তাঁর কাছে সুসমাচার পরিচালনার দায়িত্বভার সমর্পণ করেছিলেন"। তিনি কোন শুল্ক ছাড়াই অন্যকে বিনামূল্যে সুসমাচার দিতে চেয়েছিলেন, তা না হলে মনে হয় ঈশ্বর সুসমাচার শোনার জন্য লোকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। এবং তিনি অন্যকে তাঁর উদাহরণ অনুসরণ করতে বলেছেন (১ করিন্থীয় ১১:১ এবং ফিলিপীয় ৩:১৭ দেখুন)।

সুতরাং আমরা দেখতে পাই যে নতুন-নিয়ম শিখিয়েছে, প্রভুর কোন সেবক তার প্রয়োজনে উপহার গ্রহণ করতে পারেন (যীশু নিজেই করেছিলেন)। তবে একই সাথে আমরা এটিও দেখতে পাই:

(১) কোনও খ্রীষ্টান কর্মীদের কখনও মাসিক বেতন দেওয়া হতো না। যীশু তাঁর শিষ্যদের কখনও বেতনের প্রতিশ্রুতি দেননি। প্রেরিতরা কখনও বেতন গ্রহণ করেননি। তাঁরা তাঁদের স্বর্গীয় পিতার উপর বিশ্বাস করতেন যে তিনি লোকদের অন্তরকে পরিচালিত করবেন তাঁদের আর্থিকভাবে সমর্থন করার জন্য (ঠিক যীশুর ক্ষেত্রে যেমন হয়েছিল)। তাঁদের প্রভাবশালী সেবাকার্যের জন্য তাঁদের এই ধরনের বিশ্বাসী জীবন অপরিহার্য ছিল। এটি তাঁদের লোভ থেকেও রক্ষা করেছিল।

(২) অনেক পরিস্থিতিতে যেখানে পৌল দেখেছিলেন যে এই বিধানটি প্রচারকদের দ্বারা অপব্যবহার করা হচ্ছে , তিনি কারও কাছ থেকে কোনও অর্থ না নিয়ে বরং নিজেই নিজের ভার বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন, যেন তিনি যে সুসমাচার প্রচার করে ছিলেন তার সাক্ষ্য রক্ষা হয়। তিনি ২ করিন্থীয় ১১:৭-১৩ তে বলেছেন (লিভিং বাইবেল অনুবাদে), বিনামূল্যে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচার প্রচার করেছি, আমি তোমাদের কোনো টাকার কথা বলিনি। কারণ মাকিদনিয়া থেকে যে ভাইরা এসেছিল তারাই আমার সব প্রয়োজন মিটিয়েছিল। আমি কখনও তোমাদের কাছ থেকে এক পয়সাও চাইনি, এবং কখনই চাইব না। এবং আমি এটির সম্পর্কে সবাইকে বলব আমি এটা এই জন্য করি কারণ আমি সেইসব লোকেদের পায়ের নীচ থেকে ভূমি কেটে ফেলতে চাই যারা গর্ব করে বলে যে তারা আমাদের মতো করে ঈশ্বরের কাজ করছেন। ঈশ্বর কখনও তাদের পাঠাননি; তারা হল "ধোঁকাবাজ" (ভাক্ত প্রেরিত) যারা নিজেদেরকে খ্রীষ্টের প্রেরিত ভাবিয়ে আপনাকে বোকা বানিয়েছেন।

আমরা এখানে দেখি যে পৌল মাঝে মাঝে উপহার গ্রহণ করেছিলেন - যখন মাকিদনিয়া থেকে (ফিলিপীয় মণ্ডলীর) খ্রীষ্টানরা স্বেচ্ছায় তাকে কিছু অর্থ প্রেরণ করেছিল। কিন্তু তিনি করিন্থীয় খ্রীষ্টানদের কাছ থেকে কোনও অর্থ নেননি (যেমন আমরা উপরে দেখি), কারণ তিনি তাদের দেখাতে চেয়েছিলেন যে তিনি সেই জায়গার নকল খ্রীষ্টান প্রচারকদের থেকে আলাদা ছিলেন। পৌল কখনও কারোর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার চাননি - এবং তিনি কখনও তাঁর আর্থিক প্রয়োজন সম্পর্কে ইঙ্গিতও করেননি।

পৌল থিষলনীকীয় খ্রীষ্টানদের কাছ থেকে কোনঅর্থ নেননি। তিনি ২ থিষলনীকীয় ৩:৮-১০ পদে বলেছেন "আর বিনামূল্যে কাহারও কাছে অন্ন ভোজন করিতাম না, বরং তোমাদের কাহারও ভারস্বরূপ যেন না হই, তজ্জন্য পরিশ্রম ও আয়াস সহকারে রাত দিন কার্য্য করিতাম। আমাদের যে অধিকার নাই, তা নয়; কিন্তু তোমাদের নিকটে আপনাদিগকে আদর্শরূপে দেখাইতে চাহিলাম, যেন তোমরা আমাদের অনুকারী হও "।

পৌল ইফিষীয় খ্রীষ্টানদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেননি। তিনি প্রেরিত ২০:৩১-৩৫ পদে বলেছেন, "এই তিন বছর আমি তোমাদের সাথে ছিলাম, আমি কাহারও অর্থের কি বস্ত্রের প্রতি লোভ করি নাই। তোমরা আপনারা জান, আমার নিজের এবং আমার সঙ্গীদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য এই দুই হস্তে কার্য্য করিয়াছি। আমি কঠিন পরিশ্রম করিয়া তোমাদেরকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছি যে, এই ভাবে দুর্বলদিগের সাহায্য করিতে হইবে, এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করিয়া, 'গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়'।"

প্রভুর প্রত্যেক সেবককে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে পৌল যেমন করেছিলেন তেমনি তিনিও অর্থের ক্ষেত্রে খ্রীষ্টের মনোভাব প্রকাশ করবেন।

আমাদের সিএফসি-এর প্রত্যেকটি মণ্ডলীকে যা ঈশ্বর রোপণ করেছেন, তার সমস্ত (১৫০ টিরও বেশি) সেবক/প্রাচীনরা তাঁদের নিজেদের সহায়তা নিজেরাই করেন। তাঁদের কেউই কখনও বেতন গ্রহণ করেননি। নতুন-নিয়মের এই আদর্শটি ৪৫ বছর ধরে এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে আমাদের জন্য কার্যকারী হয়েছে (১৯৭৫ সাল থেকে যখন প্রথম সিএফসি মণ্ডলী শুরু হয়েছিল, এবং এখন অবধি ২০২০) - যা বিশ্বের বড় বড় শহরগুলিতে এবং ভারতের দরিদ্রতম গ্রামগুলিতে উভয়ের ক্ষেত্রে। আমাদের এই সিদ্ধান্তটি আমাদেরকে লোভী প্রচারকদের অনুপ্রবেশ থেকে বাঁচিয়েছে যারা শাস্ত্রের উদ্ধৃতি দেয় এবং লোকদের অর্থের জন্য শোষণ করে।