WFTW Body: 

সত্যিকারের মণ্ডলী কেবল তারাই নির্মাণ করতে পারেন যারা যীশুর মতো মণ্ডলীর জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে ইচ্ছুক।

"খ্রীষ্ট মণ্ডলীকে প্রেম করিলেন, আর তাঁহার নিমিত্ত আপনাকে প্রদান করিলেন" (ইফিষীয় ৫:২৫)। আজকে যারা মণ্ডলী (খ্রীষ্টের দেহ) নির্মাণ করতে চায় তাদের প্রত্যেককে একই মূল্য দিতে হবে - প্রতিদিন তাদের আত্ম-জীবনের সম্পূর্ণ বলিদানের মাধ্যমে। খ্রীষ্টের দেহ নির্মাণের জন্য এর চেয়ে সহজ উপায় নেই। আমরা মানব সভ্যতার ইতিহাসের শুরু থেকেই এই নীতিটি দেখতে পাই।

কয়িন ঈশ্বরের কাছে শুধু "একটি নৈবেদ্য" নিয়ে এসেছিল - এবং ঈশ্বর তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। হেবল অবশ্য "তার পালের সবচেয়ে উত্তমটি" নিয়ে এসেছিলেন - এবং ঈশ্বর তা গ্রহণ করেছিলেন (আদিপুস্তক ৪:৩-৫)। কয়িন সেই ধর্মীয় খ্রীষ্টানদের প্রতীকস্বরুপ যারা ঈশ্বরের কাছে এমন নৈবেদ্য নিয়ে আসে যা খুব কম মূল্যের বা কিছুই মূল্য নাই। তবে হেবল, সেই আধ্যাত্মিক বিশ্বাসীদের প্রতীক যারা ঈশ্বরের কাছে এমন নৈবেদ্য নিয়ে আসে যার জন্য তাদের সবকিছু ব্যয় করতে হয়।

অব্রাহাম যখন ঈশ্বরের আহ্বানে মোরিয়া পর্বতের বেদীতে ইস্‌হাককে উৎসর্গ করতে গিয়েছিলেন, তখন এটি ছিল সবচেয়ে ব্যয়বহুল নৈবেদ্য যা তিনি কখনও দিতে পারতেন। তিনি হেবলের পদচিহ্ন অনুসরণ করছিলেন (আদিপুস্তক ২২ অধ্যায়)।

এক হাজার বছর পরে, দায়ূদ মোরিয়া পর্বতের একই স্থানে (অরৌণার খামারে) একটি নৈবেদ্য উৎসর্গ করেছিলেন এবং সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতির এই কথাগুলি বলেছিলেন, "আমি আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিনামূল্যে হোমবলি উৎসর্গ করিব না" (২ শমূয়েল ২৪:২৪)।

অব্রাহাম এবং দায়ূদ যে মূল্যবান নৈবেদ্য উৎসর্গ করেছিলেন ঈশ্বর তা দেখেছিলেন এবং শলোমনকে ঠিক সেই জায়গাতেই তাঁর মন্দির নির্ম্মান করতে বলেছিলেন, যেখানে এই দুই ব্যক্তি তাদের ব্যয়বহুল নৈবেদ্য উৎসর্গ করেছিলেন - মোরিয়া পর্বতে অরৌণার (অর্ণানের) খামারে (২ বংশাবলি ৩:১ পদ দেখুন)।

এইভাবে ঈশ্বর দেখিয়েছিলেন যে তাঁর গৃহটি কেবলমাত্র সেই সমস্ত লোকেরাই নির্মাণ করতে পারে যাদের এই সম্পূর্ণ আত্মত্যাগের মনোভাব রয়েছে। তারা একাই কেবল খ্রীষ্টের জন্য কন্যা নির্মাণ করবে - যিরূশালেম (প্রকাশিত বাক্য ২১:২)। অন্য সমস্ত খ্রীষ্টানরা বেশ্যা বাবিলের নির্মাণ করবে (প্রকাশিত বাক্য ১৭ এবং ১৮ অধ্যায়)।

কয়িন এবং হেবল এই দুটি ধারা শুরু করেছিলেন - ধর্মীয় ব্যক্তি এবং আধ্যাত্মিক ব্যক্তি। ইস্রায়েলের ইতিহাসে মিথ্যা ভাববাদী এবং সত্য ভাববাদীদের মধ্যে এই দুটি ধারা পরবর্তিতে দেখা গেছে; এবং ফরীশী এবং যীশু মধ্যে; এবং অবশেষে বাবিলে এবং যিরূশালেম হয়ে শেষ হবে (প্রকাশিত বাক্য ১৭, ১৮ এবং ২১ অধ্যায়)।

অনেক বিশ্বাসী স্বর্গদূতদের দর্শন এবং প্রভুযীশুর শারীরিক ব্যক্তিত্বের দর্শন দেখতে আগ্রহী। যাইহোক, আমাদের গভীর আসক্তি হওয়া উচিৎ প্রভুযীশুর জীবনের মহিমা দেখতে - যেভাবে তিনি পৃথিবীতে জীবন-যাপন করেছিলেন। এটি আমাদের অনুসরণ করার জন্য উদাহরণ।

পৌল বলেছেন: "আমার মাংসে (দেহে) উত্তম কিছুই বাস করে না........ দুর্ভাগ্য মনুষ্য আমি!" (রোমীয় ৭:১৮, ২৪)। এটিই তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য জ্বলন্ত আবেগ দিয়েছিল। আমাদের দেহের কলুষতাময় এই প্রকাশন আমাদেরও থাকা দরকার। তবেই আমরা "মাংসের সমস্ত মালিন্য হইতে শুচি করতে এবং ঈশ্বরভয়ে পবিত্রতা সিদ্ধ" করার চেষ্টা করব - এবং এইভাবে মণ্ডলীকে পবিত্রতায় রক্ষা করব (২ করিন্থীয় ৭:১)৷

আমরা যে বিশুদ্ধ মতবাদগুলিকে বিশ্বাস করি এবং প্রচার করি সেগুলিকে আমরা যদি নিছক মতবাদ হিসাবে ভাবি, তাহলে শক্তি ছাড়াই একধরনের নকল ধার্মিকতার মধ্যে সহজেই অধঃপতিত হতে পারি। সেগুলি আমাদের কাছে নিছক মতবাদের চেয়ে অনেক বেশি হতে হবে। সেগুলি অবশ্যই আমাদের কাছে প্রকাশন হয়ে উঠবে - এমন একটি প্রকাশন যা আমাদের জীবনে বৃদ্ধি পেতে থাকে। আমরা যত বেশি বিশ্বস্ততার সাথে আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রলোভনের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করব এবং যুদ্ধ করব, ততই আমরা অনেক ক্ষেত্রে আমাদের অভ্যন্তরীণ জীবনে অ-খ্রীষ্টতুল্যতার (খ্রীষ্টের স্বভাব বিহীন) বিষয়ক আত্মার প্রকাশন পাব - যেগুলি থেকে আমাদের নিজেদেরকে শুদ্ধ করা প্রয়োজন।

এই ধরনের একটি ক্রমাগত প্রকাশন ছাড়া, মণ্ডলী, খ্রীষ্টের দেহ নির্মাণ করা অসম্ভব হবে - খ্রীষ্টের দেহ। আমাদের দেহের কলুষতার এই প্রকাশন ছাড়াই যে 'পবিত্রতা' আমরা অর্জন করি, তা কেবল পুরাতন নিয়মের সাধুদের মতোই হবে (সর্বোচ্চ) - নিয়মের বাহ্যিক ধার্মিকতা। এটি আমাদের সহ-বিশ্বাসীদের দ্বারা আমাদের একটি সুখ্যাতি প্রদান করতে পারে, কিন্তু এটি "ঈশ্বরের সাক্ষাতে সিদ্ধ" হবে না (প্রকাশিত বাক্য ৩:১, ২)।

আমরা যদি প্রলোভনের মুহুর্তে প্রভুযীশুকে আমাদের উদাহরণ হিসাবে না 'দেখি', তবে আমাদের অবশ্যই মনে করতে হবে যে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি।