WFTW Body: 

হিতোপদেশ ৪:১২ পদ (অন্য ভাষান্তরে) বলে যে ঈশ্বর ধাপে ধাপে আপনার সামনে পথ খুলে দেবেন। আপনার থেকে দুই ধাপ আগে কি রয়েছে তা আপনার জানার দরকার নেই। আপনি যেটি দেখতে পাচ্ছেন সেই পদক্ষেপটি নিন এবং তারপরে আপনি পরবর্তী পদক্ষেপটি দেখতে পাবেন। এভাবেই ঈশ্বর আপনাকে পথ দেখাবেন। আপনার সামনে দরজা বন্ধ বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আপনার সেগুলির কাছে যাওয়ার সাথে সাথে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। কিন্তু আপনি সেগুলির কাছাকাছি না আসা পর্যন্ত তারা খুলবে না। এভাবেই ঈশ্বর আপনাকে পরিচালনা করে যাবেন। তাই আপনি যদি আপনার সামনের দরজাটি বন্ধ দেখতে পান, দ্বিধাগ্রস্ত বা ভয় পাবেন না। ঈশ্বর আপনাকে যে পদক্ষেপটি দেখান তা গ্রহণ করুন এবং এগিয়ে যান।"আমি তোমার সম্মুখে এক খোলা দ্বার রাখিলাম" প্রভু বলেছেন, "তাহা রুদ্ধ করিতে কাহারও সাধ্য নাই" (প্রকাশিত বাক্য ৩:৮)।

হিতোপদেশ ৪:১৮ পদে এটি লেখা আছে যে ঈশ্বর আপনার পথকে আরও উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করে তুলবেন। নতুন জন্ম হওয়া বলতে এখানে সূর্যোদয়ের সাথে এবং খ্রীষ্টের আগমনকে মধ্যাহ্নের সূর্যের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আপনার জন্য ঈশ্বরের নিখুঁত ইচ্ছা হলো যে আপনি আপনার জীবনের প্রতিটি দিনে, নতুন জন্ম থেকে খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন পর্যন্ত আরও বেশি করে খ্রীষ্টের মতো হয়ে উঠুন। এটাই ধার্মিকতার পথ - এবং এই পথ ধরে, আপনি ঈশ্বরের বাক্যে আরও এবং আরও বেশি প্রকাশন পাবেন, আপনার স্ব-জীবনের দুর্নীতির উপর আরও বেশি আলোকপাত করবেন এবং আপনি যে বাস্তব পরিস্থিতিগুলির মুখোমুখি হবেন তার জন্য আরও বেশি জ্ঞান পাবেন। এই পথ ধরে হাঁটলে আপনি কখনো পশ্চাদ্পদ হবেন না, যেমন সূর্য কখনো আকাশে পিছনে ফিরে যায় না।

ঈশ্বর সর্বপ্রথম আমাদেরকে আহ্বান করেছেন তাঁর উপাসক হতে - এবং এর অর্থ হলো একমাত্র তাঁকেই আকুলভাবে আকাঙ্ক্ষা করা। আপনি তখন ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবেন যেমনটি যিশাইয় দেখেছিলেন। তত্ক্ষণাৎ, যিশাইয়ও তার নিজের পাপপূর্ণতা দেখেছিলেন - আর তাই আপনিও দেখবেন (যিশাইয় ৬:১-৫)। তাহলে একজন উপাসক হোন এবং আপনার জীবনের যে ক্ষেত্রগুলি খ্রীষ্টের সমতুল্য নয় বলে ঈশ্বর আপনার কাছে প্রকাশ করেন সেই ক্ষেত্রগুলিকে পরিষ্কার করুন। ঈশ্বর তখন আপনাকে প্রতিদিন তাঁর নিজের স্বভাবে আরও বেশি করে অংশীদার করবেন। যখন আমরা ঈশ্বরের বাক্যে প্রভু যীশুর মহিমা দেখতে পাই, তখন পবিত্র আত্মা আমাদের এক ধাপ থেকে অন্য ধাপে পরিবর্তন করেন যাতে আমাদের মধ্যে তাঁর মহিমা দিনে দিনে বৃদ্ধি পায় (২ করিন্থীয় ৩:১৮)। অন্য কথায়, যদি আমরা পবিত্র আত্মার কাছে সম্পূর্ণরূপে সমর্পিত হই, তবে আমাদের জীবনের উপর অভিষেকটি কয়েক বছর আগের তুলনায় আজ বেশি হবে, এবং ৩০ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি হবে।

আমরা যদি প্রতিদিন ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই প্রতিদিন ঈশ্বরের কথা শোনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেমন যীশু মরিয়ম সম্পর্কে বলেছেন (লুক ১০:৪২), অন্য যেকোন কিছুর চেয়ে আমাদের একটি বিষয়ের বেশি প্রয়োজন তা হলো তাঁর বাক্য শোনা। বাইবেলের প্রথম অধ্যায়ে, আমরা পড়ি যে ঈশ্বর প্রতিদিন তাঁর বাক্য বলতেন - এবং ফলস্বরূপ পৃথিবী প্রতিদিন অল্প অল্প করে পরিবর্তিত হয়েছিল। আমরা যদি এই বছর খ্রীষ্টের সাদৃশ্যে রূপান্তরিত হতে চাই, তাহলে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় বিষয়টি হলো প্রতিদিন ঈশ্বরের বাক্য শোনা এবং মেনে চলা। বাইবেল বোঝার রহস্য হলো সর্বপ্রথম প্রভুর সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাকা। পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের বাক্যে তিনি যা অনুপ্রাণিত করেছেন তার অর্থ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তাই যীশুর সাথে চলুন, যেমন প্রথম শিষ্যেরা করেছিলেন এবং আপনার প্রতি তাঁর রব শোনার আখাঙ্খা রাখুন৷ তাহলে, তাদের মতই আপনার চোখ খুলে যাবে এবং আপনার হৃদয়ও তাঁদের মতই জ্বলে উঠবে।

আমাদের শরীরের যে অঙ্গটি আমরা প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি তা হলো আমাদের জিহ্বা। প্রভু যীশু অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য তাঁর জিহ্বা ব্যবহার করেছিলেন, এইভাবে এটি ঈশ্বরের হাতে জীবনের একটি উপকরণ বানিয়েছিলেন। তিনি ক্লান্ত লোকদের জন্য প্রশান্তিদায়ক কথা বলেছিলেন যা তাদের ভারাক্রান্ত আত্মাকে উত্তোলন করেছিল। এবং যিশাইয় ৫০:৪ পদ আমাদের বলে যে যীশু প্রতিদিন তাঁর পিতার কণ্ঠস্বর শুনেছিলেন যে তাঁর পথ জুড়ে আসা প্রতিটি ক্লান্ত আত্মার জন্য তাঁর কাছে সঠিক শব্দটি ছিল। আমরাও যদি প্রতিদিন ঈশ্বরের কথা শোনার অভ্যাস গড়ে তুলি তাহলে আমাদের চারপাশের ক্লান্ত আত্মাদের জন্য প্রতিদিন এমন একটি আশীর্বাদপূর্ণ পরিচর্যা থাকতে পারে। যদি আমরা সমস্ত অসার কথা বলা প্রত্যাখ্যান করি এবং আমাদের দৈনন্দিন কথোপকথনে শুধুমাত্র মূল্যবান শব্দগুলি বলতে পছন্দ করি, তাহলে ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর বাক্য দেবেন এবং আমাদেরকে তাঁর মুখ তৈরি করবেন - যেমন তিনি যিরমিয়কে করেছিলেন (যিরমিয় ১৫:১৯)।