WFTW Body: 

ইফিষীয় ১:৩ পদ বলছে, "ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বর ও পিতা, যিনি আমাদিগকে সমস্ত আত্মিক আশীর্ব্বাদে স্বর্গীয় স্থানে খ্রীষ্টে আশীর্ব্বাদ করিয়াছেন।" সেখানে লক্ষ্য করুন যে এই সমস্ত আশীর্ব্বাদগুলি আধ্যাত্মিক, কোন বস্তুগত নয়। পুরাতন নিয়মের অধীনে ইস্রায়েলীয়দের পার্থিব আশীর্ব্বাদগুলির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় বিবরণ ২৮ অধ্যায়ে আমরা এটি পড়তে পারি। এটাই হলো পার্থক্য খ্রীষ্টের দেওয়া অনুগ্রহ এবং মোশির দেওয়া ব্যবস্থার (নিয়ম) মধ্যে। পুরাতন নিয়মে যদি এই প্রকারের কোন পদ থাকত তবে এটি পড়তে এরকম হতো: "ধন্য আমাদের ঈশ্বর (আমাদের পিতা নন) যিনি আমাদেরকে সমস্ত বস্তুগত আশীর্ব্বাদে পার্থিব স্থানে মোশিতে আশীর্ব্বাদ করিয়াছেন।" সুতরাং যে বিশ্বাসীরা মূলত শারীরিক নিরাময় এবং বস্তুগত আশীর্ব্বাদের জন্য সন্ধান করছেন তারা সত্যই পুরাতন নিয়মে ফিরে যাচ্ছেন। এই ধরনের "বিশ্বাসী" আসলে ইস্রায়েলীয়, খ্রীষ্টান নয়। তারা মোশির অনুসারী, খ্রীষ্টের নয়।

এর অর্থ কি ঈশ্বর আজ বিশ্বাসীদেরকে বস্তুগতভাবে আশীর্ব্বাদ করেন না? তিনি করেন - তবে অন্যভাবে। যেহেতু তারা প্রথমে তাঁর রাজ্য এবং তাঁর ধার্মিকতার সন্ধান করেন, তাদের সমস্ত পার্থিব প্রয়োজন তাদের জন্য সরবরাহ করা হয়। পুরাতন নিয়মের অধীনে লোকেরা কেবলমাত্র এই পার্থিব বিষয়গুলি চেয়েছিল এবং তারা সেগুলি প্রচুর পরিমাণে পেয়েছিল - অনেক সন্তান, অনেক সম্পত্তি, প্রচুর অর্থ, শত্রুদের বিরুদ্ধে জয়, পৃথিবীতে সম্মান এবং পদ ইত্যাদি। তবে নতুন নিয়মের অধীনে আমরা আধ্যাত্মিক আশীর্ব্বাদগুলি খুঁজতে পারি - আধ্যাত্মিক সন্তান, আধ্যাত্মিক সম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্মান, আধ্যাত্মিক বিজয় (শয়তান এবং মাংসের উপরে, পলেষ্টীয়দের বা মানুষের উপরে নয়)। আমাদের পার্থিব চাহিদা যেমন স্বাস্থ্য এবং অর্থ যা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য প্রয়োজন হয় তা আমদের সাথে যোগ করা হয়। ঈশ্বর আমাদের ঠিক তত পরিমানেই অর্থ দেবেন যত পরিমাণ দিলে তিনি জানেন যে তা আমাদের পক্ষে ক্ষতিকর হবে না।

ইফিষীয় ১:৩ পদে "আত্মিক আশীর্ব্বাদ" শব্দটিকে "পবিত্র আত্মার আশীর্ব্বাদ" হিসাবে অনুবাদ করা যেতে পারে। ঈশ্বর পবিত্র আত্মার প্রতিটি আশীর্ব্বাদ ইতিমধ্যে খ্রীষ্টের মাধ্যমে আমাদের দিয়েছেন। আমাদের কেবল সেগুলিকে যীশুর নামে দাবি করতে হবে। কল্পনা করুন কোন এক ভিখারি মেয়ে রাস্তার ধারে বসে ভিক্ষা করছে। একজন ধনী রাজপুত্র এসে তাকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং লক্ষ লক্ষ টাকা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখেন - এমন এক অ্যাকাউন্ট যা থেকে যেকোন সময় সে ইচ্ছামত অর্থ তুলতে পারবে। সে কতই ভাগ্যবতী মেয়ে! একসময় তার কাছে একটি টিনের পাত্রে সামান্য কিছু পয়সা ছিল। তবে এখন সে সেরা পোশাকে অভিজাত ভাবে বাস করে। সে ব্যাঙ্ক থেকে যেকোন পরিমাণ অর্থ তুলতে পারবে, কারণ তার কাছে রাজকুমারের স্বাক্ষরিত অনেকগুলি ফাঁকা চেক রয়েছে। আধ্যাত্মিকভাবে বলতে গেলে এটি আমাদের চিত্র।

আমরা এখন স্বর্গীয় ব্যাঙ্কে গিয়ে পবিত্র আত্মার প্রতিটি আশীর্ব্বাদ দাবি করতে পারি কারণ খ্রীষ্টের নামে সেগুলি সকলেই আমাদের। স্বর্গের সমস্ত কিছুই খ্রীষ্টেতে আমাদের জন্য রয়েছে যদি আমরা তাঁর সাথে এই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকি, আমরা যদি বলতে পারি, "প্রভু, আমি পৃথিবীতে আমার সমস্ত দিনগুলিতে আপনার বিবাহের বিশ্বস্ত কন্যা হিসাবে থাকতে চাই।" তাহলে পবিত্র আত্মার প্রতিটি আশীর্ব্বাদ-ই আমাদের। আমাদের ঈশ্বরকে বোঝানোর চেষ্টা করার দরকার নেই যে সেগুলি আমাদের প্রাপ্য - কারণ সেগুলির কোনটাই আমাদের প্রাপ্য নয়। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে সেই ভিক্ষুক মেয়েটি কল্পনা করছে সে যে সমস্ত সম্পদ অবাধে পেয়েছিল সেগুলি তার প্রাপ্য? একদমই না। আমরা যা কিছু পাই তা ঈশ্বরের করুণা ও অনুগ্রহ দ্বারা। আমরা স্বর্গের সমস্ত কিছুই নিতে পারি কারণ সেগুলি খ্রীষ্টে আমাদেরকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের উপবাস বা প্রার্থনা করে সেগুলি উপার্জন করতে পারি না। অনেকে পবিত্র আত্মার আশীর্বাদ পান না কারণ তারা সেগুলি উপার্জনের চেষ্টা করেন! আমরা সেগুলিকে এমনি গ্রহণ করতে পারি না। কেবলমাত্র খ্রীষ্টের যোগ্যতার মাধ্যমে আমাদের অবশ্যই সেগুলি গ্রহণ করতে হবে।

আমার মনে আছে যখন আমি একবার কিছু পার্থিব প্রয়োজনের জন্য প্রার্থনা করছিলাম তখন প্রভু কীভাবে আমাকে এই বিষয়টি শিখিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, "প্রভু, আমি দীর্ঘ বছর ধরে আপনার সেবা করেছি। তাই দয়া করে আমার জন্য এটি করুন।" প্রভু বলেছিলেন, "না, আমি এটি করব না, যদি তুমি নিজের নামে এসে থাকো।" সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম প্রভু যীশুর নামে প্রার্থনা করার অর্থ কী। সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে একজন নতুন বিশ্বাসী যিনি সবেমাত্র পরিবর্তিত হয়েছেন, এবং আমি যে ১৯৫৯ সালে পরিবর্তিত হয়েছিলাম, উভয়েরই একই ভিত্তিতে ঈশ্বরের কাছে আসতে হয়েছে - কেবলমাত্র যীশু খ্রীষ্টের যোগ্যতার দ্বারা। যীশু খ্রীষ্টের স্বাক্ষরিত একটি চেক নিয়ে তাকে স্বর্গের ব্যাঙ্কে আসতে হবে। আমিও কেবল সেখানে যীশু খ্রীষ্টের স্বাক্ষরিত একটি চেক নিয়ে আসতে পারি। যদি আমি ঈশ্বরের কাছে এসে বলি যে আমি এত বছরের জন্য তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত ছিলাম তাই আমি আমার স্বাক্ষরিত একটি চেক নিয়ে স্বর্গের ব্যাঙ্কে আসছি। এবং স্বর্গের ব্যাঙ্ক এটিকে প্রত্যাখ্যান করবে। আমাদের অনেক প্রার্থনার উত্তর না পাওয়ার এটা একটা কারণ। আমরা প্রভু যীশুর নামে যাচ্ছি না। আমরা আমাদের নিজ নামে যাচ্ছি। আমরা মনে করি যেহেতু আমরা ঈশ্বরের জন্য অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছি, তাঁর উচিৎ আমাদেরকে উত্তর দেওয়া। এমনকি যদি আমরা ৭০ বছর ধরে বিশ্বস্ততার সাথে চলছি, তবুও যখন আমরা প্রভুর সামনে আসি, তখন আমরা নতুন পরিবর্তিত বিশ্বাসীদের মতো কেবল একই ভিত্তিতে - যীশুর নামে আসতে পারি। আমি এই প্রকাশনের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ এর পরে আমি কখনই আমার নামে স্বাক্ষরিত চেক নিয়ে ঈশ্বরের কাছে যাইনি!! যখন আমি এটি করতে প্রলুব্ধ হই তখন আমি বলি, "এই চেকটি কখনই নগদ (cash) হবে না। আমাকে প্রভু যীশুর নামে যেতে হবে এবং কেবল তাঁর যোগ্যতার দ্বারাই।" তাই খ্রীষ্টেতে স্বর্গীয় স্থানে পবিত্র আত্মার প্রতিটি আশীর্ব্বাদ আমাদের।