লিখেছেন :   জ্যাক পুনেন
WFTW Body: 

পবিত্র আত্মা হলো নূতন নিয়মের প্রধান বিষয়গুলির মধ্যে একটি এবং যিশাইয় ৪০ থেকে ৬৬ অধ্যায়ে পবিত্র আত্মা হলো মুখ্য বিষয়গুলির মধ্যেও একটি৷

"ঐ দেখ, আমার দাস, আমি তাঁহাকে ধারণ (বহন) করি..." (যিশাইয় ৪২:১)। ঈশ্বরের সত্যিকারের সেবক হলেন এমন একজন যাকে স্বয়ং ঈশ্বর বহন করেন, তিনি কোন অর্থের দ্বারা বা সংস্থার দ্বারা বা কোনো মানব কর্তৃত্বের দ্বারা নয়। আমাদের বহনকারী যেন সর্বদা স্বয়ং প্রভু হোন। মানুষ আমাদের উপহার দিতে পারে। কিন্তু আমাদের কখনই মানুষ বা অর্থের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। "বহন করা" শব্দটি বোঝায় যেটির/ যার উপর আমরা নির্ভরশীল। আমাদেরকে একমাত্র প্রভুর উপর নির্ভরশীল হতে হবে। ঈশ্বর আমাদের উপর তাঁর আত্মা প্রেরন করেন যখন আমরা অসহায় পরিস্থিতিতে উপস্থিত হই৷

এটি যিশাইয় ৪২:২, ৩-পদে লেখা আছে: "তিনি চিৎকার করিবেন না, উচ্চশব্দ করিবেন না, পথে আপন রব শোনাইবেন না "। এটি উদ্ধৃত করা হয়েছে মথি ১২:১৯ পদে প্রভু যীশুকে উল্লেখ করে "...পথে কেহ তাঁহার রব শুনিতে পাইবে না। তিনি থেৎলা নল ভাঙ্গিবেন না..."।

এর অর্থ হলো যে প্রভু কখনোই এমন কাউকে নিরুৎসাহিত করবেন না যে তার জীবনের কোন এক সময়ে নিজেকে নষ্ট করেছে, কিন্তু তাকে উত্সাহিত করবেন এবং তাকে সুস্থ করবেন। প্রভু একটি প্রদীপের বাতিকে নিভিয়ে দেবেন না যেটি শেষ হতে চলেছে। পক্ষান্তরে, তিনি এটিকে অগ্নিশিখায় প্রজ্বলিত করবেন। ঈশ্বর দুর্বল বিশ্বাসীদের সাহায্য করতে আগ্রহী যারা ব্যর্থ হয়েছে। যারা নিরুৎসাহিত এবং হতাশাগ্রস্ত তিনি তাদের সাহায্য করতে এবং তাদের আত্মাকে উত্তোলন করতে আগ্রহী।

একজন সত্যিকারের প্রভুর দাসের সবসময় এইরূপ অনুপ্রেরণার পরিচর্যা থাকবে, যারা হতাশাগ্রস্ত এবং নিরুৎসাহিত এবং যারা আশাহীন বোধ করে এবং জীবনের প্রতি বিরক্ত, তাদের আত্মাকে উত্তোলন কররেন। আসুন আমরা সকলে এমনই একটি সেবাকার্যের অন্বেষণ করি, কারণ সর্বত্র মানুষের এটি প্রয়োজন।

যিশাইয় ৪২:৬-৮: প্রভু আমাদের বলেন: "...আমি সদাপ্রভু ধর্মশীলতায় তোমাকে আহ্বান করিয়াছি। তুমি অন্ধদিগকে চক্ষু দিবে, তুমি কারাকুপ হইতে বন্দিদিগকে ও কারাগার হইতে অন্ধকারবাসিগণকে বাহির করিয়া আনিবে"। এটি একটি মহান সেবাকার্য। কিন্তু একটি কথা সর্বদা মনে রাখবেন: "প্রভু বলেছেন, 'আমি আপন গৌরব কখনই অন্যকে দেব না"' (যিশাইয় ৪২:৮)।

আমাদের সেবাকার্যের জন্য আমাদের নিজেদের প্রতি কখনই কোন গৌরব নেওয়া উচিৎ নয়। নিজেদের কৃতিত্ব বা গৌরব নেওয়া খুবই গুরুতর অপরাধ। এটা টাকা চুরি করার চেয়েও খারাপ। ঈশ্বর আপনাকে এবং আপনার সেবাকার্যকে আশীর্বাদ করতে পারেন এবং আপনাকে শক্তিশালীভাবে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তিনি কখনই কাউকে তাঁর মহিমা দেবেন না। যখনই আপনি ঈশ্বরের মহিমায় হাত দিতে চেষ্টা করবেন, তখনই আপনি নিজেকে ধ্বংস করবেন, যেমন এভাবেই প্রভুর অনেক সেবক ধ্বংস হয়ে গেছে। যখন আপনি নিজেকে লোকেদের সামনে উন্নীত করা শুরু করছেন, প্রভুর পরিবর্তে নিজের দিকে লোকেদের আকর্ষণ করছেন, এবং ঈশ্বর যা করেছেন তার জন্য আপনি নিজে কৃতিত্ব নিচ্ছেন, তার মানে আপনি খুব বিপজ্জনক জায়গায় আছেন। এভাবেই হাজার হাজার মানুষ তাদের জীবনে ঈশ্বরের অভিষেক হারিয়েছেন।

যিশাইয় ৪২:১৯: "আমার দাস বই আর অন্ধ কে? আমার প্রেরিত দূতের ন্যায় বধির কে? আমার মিত্র, যিনি আমার সাথে সম্পূর্ণ শান্তিতে আছেন, তাঁর ন্যায় অন্ধ কে? সদাপ্রভুর দাসের ন্যায় অন্ধ কে?" এটি একটি হতবুদ্ধিকর পদের মতো দেখায়, বিশেষ করে যেহেতু এটি স্পষ্টভাবে যীশুকে বোঝায় (যেমন আমরা ১ পদ থেকে দেখতে পাই)।

এর অর্থ কী? এর অর্থ হলো যে ঈশ্বরের একজন প্রকৃত সেবক তার চারপাশে যা দেখেন এবং শোনেন তার অনেক কিছুর বিষয়ে অন্ধ এবং বধির হয়ে থাকবেন। তিনি অনেক কিছু দেখেন, কিন্তু তিনি সেগুলিতে মনোযোগ দেন না (যিশাইয় ৪২:২০)। তিনি অন্যের মধ্যে পাপের অন্বেষণ করতে যান না। তিনি লোকেদের ভুল ধরার উদ্দেশে তাদের কথা শুনতে যান না। ফরীশীরা এমনই ছিল - সর্বদা যীশুকে অভিযুক্ত করার জন্য তিনি (যীশু) যা কিছু বলতেন সেই বিষয়ে ভুল ধরার অপেক্ষা করত। অনেক খ্রীষ্টানরা দুর্ভাগ্যবশত এই প্রকারের হয়ে থাকে - সর্বদা কাউকে তার বলা মুখের বাক্যের দ্বারা অভিযুক্ত করার অপেক্ষায় থাকে - কারণ প্রায়শই তারা সেই ব্যক্তির সেবাকার্যের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়। (আপনারা) তাদের মতো হবেন না।

আপনি আপনার চারপাশে যা শুনছেন এবং দেখছেন এমন অনেক কিছু বিষয়ের জন্য বধির এবং অন্ধ হয়ে যান। আপনি কি শুনেছেন যে কেউ আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে? আপনি যদি বধির হতেন তবে আপনি এটি শুনতে পেতেন না। তাহলে "বধির" হোন! প্রভুর একজন সেবকের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় মহিলাদের বিষয়ে "অন্ধ" হওয়া কি ভাল নয়? আপনার চোখ আছে, কিন্তু আপনি দেখতে পাচ্ছেন না। "আপনি অন্ধ"! আপনার কান আছে, কিন্তু আপনি শোনেন না! কারণ আপনার চোখ যা দেখে বা আপনার কান যা শোনে তা দিয়ে আপনি বিচার করেন না। যীশু এভাবেই জীবনযাপন করেছিলেন, এবং এভাবেই আমাদেরও জীবনযাপন করতে হবে (যিশাইয় ১১:৩)।