লিখেছেন :   জ্যাক পুনেন বিভাগগুলি :   মণ্ডলী শিষ্য
WFTW Body: 

প্রকাশিত বাক্য ১৪:১-৫ পদে আমরা শিষ্যদের একটি ছোট দলের কথা পড়ি যারা তাদের পার্থিব জীবনে সর্বান্তকরণে প্রভুকে অনুসরণ করেছিলেন। তারা শেষ দিনে প্রভু যীশুর সাথে বিজয়ী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন - কারণ ঈশ্বর তাদের জীবনে তাঁর পূর্ণ উদ্দেশ্য সাধন করতে সক্ষম ছিলেন।

যাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে তারা এমন এক বিশাল জনতা যাদের সংখা গণনা করা সম্ভব নয়, যেমনটি আমরা প্রকাশিত বাক্য ৭:৯, ১০ পদে দেখতে পাই:

ইহার পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার বিস্তর লোক, তাহা গণনা করিতে সমর্থ কেহ ছিল না, তাহার সিংহাসনের সম্মুখে ও মেষশাবকের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছে; তাহারা শুক্লবস্ত্র পরিহিত ও তাহাদের হস্তে খর্জ্জুর-পত্র; এবং তাহারা উচ্চরবে চিৎকার করিয়া কহিতেছে, “পরিত্রাণ আমাদের ঈশ্বরের, যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, এবং মেষশাবকের দান।”

কিন্তু প্রকাশিত বাক্য ১৪-এ উল্লেখিত শিষ্যদের দলটি অনেক ছোট, যা গণনা করা যেতে পারে - ১,৪৪,০০০। সংখ্যাটি আক্ষরিক নাকি প্রতীকী (প্রকাশিত বাক্যের বেশিরভাগ অংশের মতো) তা গুরুত্বহীন। মূল কথা হল, বিশাল জনতার সাথে তুলনা করলে এটি খুবই ছোট সংখ্যা।

এই অবশিষ্টাংশই পৃথিবীতে ঈশ্বরের প্রতি সত্য ও বিশ্বস্ত ছিল। তাদের পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং ঈশ্বরের অনুমোদনের সনদপত্র প্রাপ্ত হয়েছিল। ঈশ্বর নিজেই তাদের সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে

“তাহারা নিজেদের শুদ্ধ রাখিয়াছে .... মেষশাবক যেখানেই যান তারা তাঁর পিছনে পিছনে যায় .... তাহাদের মুখে কোন মিথ্যা (অথবা ছলনা) পাওয়া যায় নাই .... তাহারা নির্দোষ (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৪,৫)।

এগুলো ঈশ্বরের প্রথম ফল। এগুলো খ্রীষ্টের কনে। মেষশাবকের বিবাহের দিনে, সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে, ছোট-বড় সকল বিষয়েই ঈশ্বরের প্রতি সম্পূর্ণ সত্য ও বিশ্বস্ত থাকা মূল্যবান ছিল।

সেই দিন, স্বর্গে এই ঘোষণা হবে,

“আইস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, এবং তাঁহাকে গৌরব প্রদান করি, কারণ মেষশাবকের বিবাহ উপস্থিত হইল, এবং তাঁহার ভার্য্যা আপনাকে প্রস্তুত করিল” (প্রকাশিত বাক্য ১৯:৭)।

যারা এই পৃথিবীতে নিজেদের লাভ এবং সম্মান খুঁজছিল, তারা সেদিনই পুরোপুরি বুঝতে পারবে যে তাদের ক্ষতি আসলে কতটা বড়। যারা পিতা, মাতা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই, বোন, নিজের জীবন, অথবা বস্তুগত জিনিসপত্রকে প্রভুর চেয়ে বেশি ভালোবাসত, তারা সেই দিন তাদের চিরন্তন ক্ষতি আবিষ্কার করবে।

তখন এটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিরা হলেন তারাই যারা প্রভু যীশুর আদেশ সম্পূর্ণরূপে পালন করেছিলেন এবং যারা তাঁর মতো চলতে তাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে চেষ্টা করেছিলেন। তখন খ্রীষ্টীয় জগতের ভুয়া সম্মান স্পষ্টভাবে দেখা যাবে যে এটি আবর্জনা। তখন আমরা দেখতে পাব যে অর্থ এবং বস্তুগত জিনিসপত্রই ছিল কেবলমাত্র সেই উপায় যার মাধ্যমে ঈশ্বর আমাদের পরীক্ষা করেছিলেন যে আমরা খ্রীষ্টের কনে হওয়ার যোগ্য কিনা।

আহা, যদি আমাদের চোখ এখনও খুলে যায়, তাহলে আমরা সেই বাস্তবতাগুলো দেখতে পাবো যা আমরা সেদিন স্পষ্টভাবে দেখতে পাবো!

যে কোনও মানুষের সবচেয়ে বড় সম্মান হল সেই দিনে খ্রীষ্টের কনেতে স্থান পাওয়া - এমন একজন হিসেবে যিনি স্বয়ং ঈশ্বরের দ্বারা পরীক্ষিত এবং অনুমোদিত!